অস্ত্র ঠেকিয়ে জোর করে গরুর ট্রলার নিজেদের হাটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মোখলেছুর রহমান চৌধুরী ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে সেই হাটে এখন শক্তি অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার বলছেন, কেউ গরুর রশি নিয়ে টানাটানি করলে, সেই রশি তাদের কোমরেই বাঁধা হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের সামিট পাওয়ার প্লান্টের পেছনে খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাটের ইজারাদার আবদুল কাদির। তবে স্থানীয়রা জানান, হাটটি পরিচালনা করছেন ১৯ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. মোখলেছুর রহমান চৌধুরী।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেন শাহ আহম্মেদ বলেন, শীতলক্ষ্যা নদী দিয়ে আসা গরুর ট্রলার গুলো জোর করে রেখে দিচ্ছে সামিট পাওয়ার প্লান্টের পেছনে খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাটের কর্তৃপক্ষ। কাউন্সিলর মো. মোখলেছুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে বেপারীদের আটকে রেখে নামানো হচ্ছে গরু। বেপারীরা থাকতে না চেয়ে আমাদের ফোন করলে, সাহউরি নামের এক ছেলে সেখানে ছুটে যায়। পরে তাকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে এই প্রতিবেদক।
হাটটিতে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে জোর করে গরু হাটে নামানোর দৃশ্য। কিছু উশৃঙ্খল যুবক সেই গরু বোঝাই ট্রলারটি আবার পাহারা দিচ্ছিন। কেউ গরু জোর করে নামানোর দৃশ্য ধারণ করলে ক্যামেরা কেড়ে নিতে চাইছেন, দিচ্ছেন মারধরের হুমকি। সেখানেই বসে সবকিছু তদারকী করছেন কাউন্সিলর মো. মোখলেছুর রহমান চৌধুরী।
তবে, মো. মোখলেছুর রহমান চৌধুরী জানান, ‘আমাদের হাটে এ ধরণের কিছু হয় না। উল্টো ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেন শাহ আহম্মেদরা গরু নদী থেকে জোর করে নিজেদের হাটে নামিয়ে রাখছেন।’
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ওরা সত্যিই উশৃঙ্খল। অভিযোগটি আমরাও চেয়েছি। তাৎক্ষণিক সামিট পাওয়ার প্লান্টের পেছনে খালি জায়গায় পুলিশ পাঠিয়ে শক্ত অবস্থানে রেখেছি। আর একটি গরুও জোর করে নামতে দেওয়া হবে না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার নলেজে নেই, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। কেউ গরুর রশি নিয়ে টানাটানি করলে, সেই রশি তাদের কোমরেই বাঁধা হবে।