শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

অপমৃত্যু মামলার ১ মাস পর ময়না তদন্তের রির্পোটে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২, ৩.৪৮ এএম
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে শান্ত (১৬) নামে এক যুবক নিহতের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়েরের দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর অবশেষে ময়না তদন্তের রির্পোটের ভিত্তিতে অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা রুপান্তর হয়েছে।

গত ২৪ মে মঙ্গলবার রাতে নিহতের পিতা সেলিম হোসেন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৩৯(৫)২২ ধারা- ৩০২/ ২০১/ ৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।

এ ঘটনায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলাগাছিয়া নৌ-ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক মেহেদী জামানসহ সঙ্গীয় র্ফোস গত ২৫মে বুধবার রাতে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে শান্ত হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত প্রধান আসামী মিনহাজ (১৮) ও ৩নং আসামী আকাশ (১৭)কে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত হত্যা মামলার আসামী মিনহাজ বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর নিশং এলাকার মৃত মোক্তার হোসেন মিয়ার ছেলে ও অপর ধৃত আকাশ একই থানার একই ইউনিয়নের জিওধরা দলালবাড়ি এলাকার শহিদুল মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা গ্রেপ্তারকৃতদের ২৬ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞ বিচারক নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবনাল কিশোর আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ রাতে সাড়ে ৮টায় বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে শান্ত (১৬) তার বন্ধুদের সাথে ব্রম্মপুত্র নদীতে নৌকা যোগে ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে গত ৩১ মার্চ বেলা ১২টায় স্থানীয় এলাকাবাসী বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সাবদী গ্রীন গার্ডেন র্পাকের সামনে ব্রম্মপুত্র নদী গোলস করতে গিয়ে অজ্ঞাত নামা যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ীকে সংবাদ দেয়। পরে কলাগাছিয়া নৌ ফাঁড়ী পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ওই লাশটি উদ্ধার করে। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে নিহত শান্ত পিতা সেলিম হোসেনসহ তার আত্মীয় স্বজনরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ সনাক্ত করে ওই দিন সন্ধ্যায় ময়না তদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।

লাশ উদ্ধারের ওই দিন রাতে এ ঘটনায় নিহত শান্ত পিতা সেলিম হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় ১৬ নং অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। পরে দীর্ঘ ১ মাস ৭ দিন পর ময়না তদন্তের রির্পোট ও নৌ ফাঁড়ী পুলিশের সুষ্ঠ তদন্তের ভিত্তিতে অবশেষে নিহত শান্ত অপমৃত্যু মামলাটি হত্যা মামলা রুপান্তর হয়।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মেহেদী জামান গনমাধ্যমকে জানান, শান্ত নিহতের ঘটনায় অবশেষে ময়না তদন্তের রির্পোটের ভিত্তিতে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামী মিনহাজসহ ২ জনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত আছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্য আমাদের অভিযান অব্যহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort