বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভণিং বডির সভাপতি পদে মাহবুবুর রহমানকে কেন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে না? জানতে চেয়েছে আদালত।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে সম্প্রতি একটি কারণ দর্শানোর নোটিশে এ প্রশ্ন করেছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। নোটিশ প্রাপ্তির ২ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মাহবুবুর রহমান ওরফে লায়ন বাবুল সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও নানা বির্তকিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
সোনারগাঁয়ের প্রাচীন বিদ্যালয়ের একটি বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজ। ১৯০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যাপীঠে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করে। পরে ৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি না থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের নীতিমালা ২০০৯ এর ২৩ (১) বিধি অনুযায়ী ৯জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এরপর মাহবুবুর রহমান সভাপতি নির্বাচিত হন।
বারদী হাই স্কুল এন্ড কলেজ এর গভণিং বডির সভাপতি মাহবুবুর রহমান এর বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে গত ৭ নভেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন স্কুলটির সভাপতি পদপ্রার্থী মো. জাকির সরকার। সেখানে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার ভূয়া সিল-স্বাক্ষরকৃত ডিও দিয়ে অনৈতিক উপায়ে, জালজালিয়াতি ও শিষ্টাচারবহির্ভূত সভাপতি হয়েছেন।
আর সাইদ নামের আরও এক ব্যক্তি তাঁর বিরুদ্ধে আদালত থেকে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা জানান, আমি মাহবুবুর রহমানের পক্ষে কোন প্রকার সুপারিশ করিনি।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মোস্তফা‘র নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ করেনি।
অভিযুক্ত বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জানান, অভিযোগ গুলো মিথ্যা বানোয়াট। আমি সংসদ সদস্যের ভূয়া সিল-স্বাক্ষরকৃত ডিও জমাই দেইনি।
এদিকে, সম্প্রতি এ ঘটনায় মাহবুবুর রহমানের সাথে প্রতিপক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।