রূপগঞ্জ থেকে ৬ লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ভারতে পাচার করা দুই তরুনীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (১৯ মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমীর খসরু এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, ১৮ মার্চ শনিবার রাত ৮টায় ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর বর্ডার এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত কিশোরীরা হলেন, নরসিংদী মাদবদী এলাকার সন্তোশ দাসের মেয়ে শিলা রানী (১৮) ও দিনাজপুর জেলা ও সদর উপজেলার বর্তমান ভুলতা এলাকার মনির মিয়ার বাড়ির ভারাটিয়া সকাল চন্দ্রের মেয়ে শ্যামলী রানী (১৮)।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমীর খসরু সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভুক্তভোগী দুই তরুনীকে ভালো বেতনের চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একটি পাচার কারী চক্র রূপগঞ্জ ভূলতা সিএনজি স্টেশন হইতে প্রথমে চিটাগাং রোডে নিয়া একটি হোটেলে রাখে। সেখান থেকে ২জানুয়ারি সকালে রশিদ ও নবী হোসেন ঢাকা গুলিস্থান পার্কে নিয়ে যায়। গুলিস্থান পার্কে শাকিল নামক এক ব্যক্তিসহ ২/৩ জন আসে। শাকিল, রশিদ ও নবী শলা-পরামর্শ করে তরুণীদের নবী হোসেন ও রশিদ শাকিলের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসে। শাকিল ও তার এক বন্ধু তাদেরকে আদি বাজারে নিয়ে যায়। আদি বাজারে শাকিলের বাসায় একরাত থাকে। সেখান থেকে ৩ জানুয়ারি শাকিল ও তার এক বন্ধু ঢাকার কদমতলী হইতে বাসে করে। যশোর নিয়ে যায়।
যশোর নেওয়ার পর শাকিল এক মোটর সাইকেলসহ একজন লোককে ফোন করিয়া নিয়ে আসে, পরে তরুনীদের তার কাছে বুঝায় দেয়। মোটর সাইকেল ওয়ালা তাহার মোটর সাইকেলে করে যশোর চৌগাছা নিয়ে একজন অটো ওয়ালাকে বুঝায় দেয়। অটো ওয়ালা অটো যোগে নিয়ে ঝিনাইদহ মহেশপুরের গোপালপুর বর্ডারের কাছে এক দালালের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে দুইজন মহিলা এবং ২জন বাচ্চা ছিল। ঐদিন রাতেই দালাল ভিকটিম মেয়ে দুইটিকে ভারতের বর্ডার পার করে ভারতের দালালের নিকট বুঝাইয়া দেয়। সেখানে দালাল তাদেরকে বাগদা বাজারে এক বাড়িতে নিয়ে রাখে। সেখানে একটি ছেলে এসে মেয়ে দুটিকে জানায় যে তাদেরকে ৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বোম্বাই পতিতালয়ে বিক্রি করিয়া দিয়েছে। এই কথা শোনারপর মেয়ে দুইটি কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বর্ডারের নিকট ভারতের পরিতোষ নামে এক লোকের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করিয়া ঝিনাইদাহ মহেশপুরের গোপালপুর বর্ডার থেকে ১৮ মার্চ রাত ৮টায় উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া তরুনীরে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।