শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক মৃত ব্যক্তির নামে চাঁদাবাজি মামলা ও কৃষকদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মামলার ৭নং আসামি মুজাফফর হাওলাদার গত ৬ বছর আগে মারা গেছেন।
একই উপজেলার সখিপুর থানার চরভাগা ইউনিয়নের বকাউল কান্দি গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলী বকাউলের ছেলে মিলন বকাউল (৫০) এই মামলা দায়ের করেন। তিনি এই মামলায় মৃত ব্যক্তি ছাড়াও আরও ৭ কৃষকের নামে মামলা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৪৫ বছর আগে ভেদরগঞ্জ উপজেলাধীন চরভাগা ইউনিয়নের খুনিকান্দি এলাকার কৃষক মোতালেব হাওলাদার, আজিজল মাল, মুজাফফর হাওলাদার, হরমুজ মাল ও কাদির মালের কাছে চরভাগা মৌজার আরএস ৪ একর জমি বিক্রি করেন মিলন বকাউলের বাবা ইদ্রিস বকাউল। জমিতে কৃষকরা নিজেদের মতো করে চাষাবাদ করে আসছিলেন। কিন্তু গত দুই মাস ধরে মিলন বকাউল ও একটি ভূমি দস্যুচক্র ওই জমি তাদের বলে দাবি করেন। ফসলের জমি জোরপূর্ব দখলের চেষ্টাও করেন তবে স্থানীয়দের সম্মিলিত বাধায় দখল চেষ্টায় ব্যর্থ হন মিলন। পরে গত ২৭ নভেম্বরে শরীয়তপুর আদালতে চাঁদাবাজি মামলার আবেদন করেন তিনি। সেই মামলার একজন আসামি হলেন ৬ বছর আগে মৃত মুজাফফর হাওলাদার।
ভুক্তভোগী নুরু মাল বলেন, আমরা দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ভোগদখল করে আসা জমি হঠাৎ করেই মিলন বকাউল তার দাবি করছেন। কয়েকদিন আগে তার লোকজন জোরপূর্বক দখল করতে আসে। কিন্তু স্থানীয়দের চাপে তা করতে পারেনি। এখন দখল করতে না পারায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। আমরা অসহায় মানুষ। এই জমি আমরা তার বাবার থেকে কিনেছিলাম।
মৃত মুজাফফর হাওলাদারের ভাই মোতালেব হাওলাদার বলেন, একজন মৃত ব্যক্তি কীভাবে কাছে চাঁদা চাইতে পারে। আবার তিনি বলছে আমার ভাই তার ফোন নিয়ে গেছে। আমার ভাই গত ছয় বছর আগে মারা গেছেন। মৃত মানুষের বিরুদ্ধে কীভাবে মামলা হয়। আমরা এ হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা থেকে বাঁচতে চাই।