ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর গত সোমবার যৌথভাবে সিরিজ বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হামলার পরপরই মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ছয়টি দেশের স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার হুতিদের ওপর যৌথ অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে ২৪টি দেশের সমর্থনে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য সরকার এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও অস্ট্রেলিয়াসহ ২৪টি দেশের সহযোগিতায় সোমবার ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, লোহিত সাগর ও আশেপাশের জলপথে চলাচলকারী জাহাজের বিরুদ্ধে অবিরতভাবে অবৈধ ও বেপরোয়া হুতি হামলার প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও নিউজিল্যান্ডের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আটটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই হামলাগুলো হুতিদের বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং বিশ্বজুড়ে নিরপরাধ নাবিকদের ওপর তাদের আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতাকে ব্যাহত এবং অবনমিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছিল।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ইয়েমেনে রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতরা ইয়েমেনের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে আজ বুধবার বৈঠক করবেন। রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র জাতিংসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য।