ভারতের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টের পর নতুন বছর সাফল্যে রাঙানোর প্রত্যাশার কথা বলেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার বিশ্বাস, ২০২৩ সালে অন্যান্য বড় দলগুলোর মতো বাংলাদেশও ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে নিজেদের মেলে ধরতে পারবে। অধরা অনেক সাফল্য পাবে।
শুক্রবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েও সাকিব একই কথা বলেছেন। সঙ্গে যোগ করেছেন, ২০২৩ সাল হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা বছর। তার ভাষ্য, ‘আমি শেষ সংবাদ সম্মেলনে (ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষে) যেটা বলেছি ২০২৩ সালটা আমি মনে করি আমাদের জন্য, আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বছর হবে। এটা আমি বিশ্বাস করি, মনেপ্রাণেই বিশ্বাস করি এমনটা হবে। আর এটা শুধু একটা ফরম্যাটে না, তিনটা ফরম্যাটেই।’
২০২২ হতে পারত বাংলাদেশ ক্রিকেটের সেরা বছরের একটি। বছরের শুরুটাও হয়েছিল ইতিহাস গড়ে। নিউ জিল্যান্ডে জিতেছিল টেস্ট ম্যাচ। কিন্তু জয়ের ধারাবাহিকতা ছিল না পরবর্তীতে। শুধু টেস্টে নয় টি-টোয়েন্টিতেও একই অবস্থা। যা পাওয়া গেছে তা কেবল ওয়ানডেতেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জয়, বছরের শেষে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় উল্লেখযোগ্য সাফল্য।
সামনে বাংলাদেশকে কাটাতে হবে কঠিন পথ। মার্চ-এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে একটি টেস্ট খেলবে। পরের মাসে আবার আয়ারল্যান্ডে ফিরতি সফরও করবে। জুন-জুলাইয়ে আফগানিস্তান পূর্ণাঙ্গ সফরে আসবে। খেলবে দুটি টেস্ট। বছরের শেষ দিকে নিউ জিল্যান্ড বাংলাদেশ সফরে এসে দুটি টেস্ট খেলবে।
ঘরের মাঠে সবগুলো টেস্টে ভালো করার সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না সাকিব। এছাড়া সীমিত পরিসরে সিরিজ আছে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এশিয়া কাপ ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। বৈশ্বিক ও মহাদেশীয় আসরে ভালো করার বড় সুযোগ দেখেন সাকিব।
মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপের বছর, অবশ্যই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই একটা জায়গায় আমরা যে ধরনের প্রত্যাশা নিয়ে যাই, সেভাবে পারফর্ম করতে পারি না। তবে আমরা যদি, দল হয়ে খেলতে পারি, অবদান সব জায়গা থেকে আসে, তাহলে আমার ধারণা এই বিশ্বকাপ আমাদের খুব ভালো যাবে।’
অনুষ্ঠানে সাকিবের হাতে দেশের সেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার দেওয়া হয়। এ পুরস্কার সাকিবকে আরো দায়িত্বশীল করে তুলছে বলে জানিয়েছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার, ‘অবশ্যই আপনাকে আরও বেশি দায়িত্বশীল করবে। অনুপ্রাণিত করবে। এমন বিষয় যে কাউকেই অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করে। সেক্ষেত্রে এমন একটা পুরস্কার আমার জন্য অনেক বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক ও দায়িত্বের। আমি চেষ্টা করব সামনেও ভালো করে যাওয়ার।’