ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমটায় ৩২৫ রান করেও হার। পরের ম্যাচ দারুণভাবে জিতে সিরিজে সমতা ফেরায় ইংল্যান্ড। কিন্তু শনিবার রাতে তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা ও বৃষ্টি আইনে ৪ উইকেটে হার মানে তারা। তাতে ১৬ বছর পর উইন্ডিজের কাছে সিরিজ হাতছাড়া হয় ইংলিশদের। এর আগে সবশেষ ২০০৭ সালে ২-১ ব্যবধানে ক্যারিবিয়ানদের কাছে সিরিজ হেরেছিল তারা।
এদিন ব্রিজটাউনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টির কারণে ৪০ ওভারে ৯ উইকেটে ২০৬ রান করে ইংল্যান্ড। কিন্তু বৃষ্টি আইনে ৩৪ ওভারে ক্যারিবিয়ানদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৮৮ রানের। সেটা তারা ৩১.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যায়।
মূলত রান তাড়ায় জয়ে তিন ব্যাটসম্যান রাখেন মূখ্য ভূমিকা। তার মধ্যে ক্যাসি কার্টি ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রান করেন। অ্যালিক আথানেজ ৭ চারে করেন ৪৫ রান। আর রোমারিও শেফার্ড ৩ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
বল হাতে ইংল্যান্ডে উইল জ্যাক ৩টি ও গাস অ্যাটকিনসন ২টি উইকেট নেন।
তার আগে ইংল্যান্ডের ইনিংসে বেন ডাকেট ৬টি চার ও ১ ছক্কায় সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন। লিয়াম লিভিংস্টন ২ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৫ রান। ২ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ২০ রান করেন অ্যাটকিনসন। বাকিদের কেউ ১৭ রানের বেশি করতে পারেনি।
বল হাতে উইন্ডিজের ম্যাথিউ ফোর্ডে ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ৩টি ও আলজারি যোসেফ ৮ ওভারে ৬১ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।
৩ উইকেট ও ১৩ রান করে ম্যাচসেরা হন ফোর্ডে। আর ১৯২ রান করে সিরিজ সেরা হন শেই হোপ।