রীতিমত চোখ ধাঁধিয়ে দেয় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশ যেখানে ঢাকা টেস্টে একদিন পুরোপুরি ব্যাটিং করতে পারেনি সেখানে আয়ারল্যান্ড হাতে ৬ উইকেট রেখে সারাদিন কাটিয়ে দেয়। টেস্টের তৃতীয় দিন হ্যারি টেক্টর, লরকান টাকার ও ম্যাকব্রেইনের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে আইরিশরা দারুণ লড়াই করে। টাকার করেন সেঞ্চুরি। ফিফটি আসে টেক্টর ও ম্যাকব্রেইনের ব্যাট থেকে।
ত্রয়ীর ব্যাটিং দু্যতি ম্যাচের এক এক পর্যায়ে পথ থেকে ছিটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। শুক্রবার ১৩১ রানের লিড ও হাতে ২ উইকেট নিয়ে মাঠে নেমেছিল আয়ারল্যান্ড। আগের দিনের ছন্দ অবশ্য আজ তারা ধরে রাখতে পারেনি। ৩৫ মিনিটে শেষ ২ উইকেট হারায়। এ সময়ে যোগ করতে পারে কেবল ৬ রান। তাতে বাংলাদেশ পায় ১৩৮ রানের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য মুশফিকের অপরাজিত ৫১ রানের সুবাদে সহজেই তাড়া করে জয় পায় স্বাগতিকরা। ম্যাচ শেষে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব।
হারের কোনো শঙ্কা তার ছিল না বলে দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে সাকিব বলেছেন, ‘হারের শঙ্কা ছিল না। টেস্টে যেটা হয়, অনেক সময় থাকে কামব্যাক করার। ওয়ানডেত একটু কম, টি-টোয়েন্টিতে খুবই কম। কখনোই কারো মাথায় ওরকম চিন্তা আসেনি।’ আয়ারল্যান্ড প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২৯২ রান করে।
তাদের প্রশংসা করে সাকিব বলেছেন, ‘গতকাল আয়ারল্যান্ড ভালো খেলেছে এটা তাদের দিকে ভালো দিক। ওরা অনেক ফাইট শো করেছে, প্রথম দিকে আমরা হয়তো প্রত্যাশা করিনি। কিন্তু ওরা সংস্কৃতির দিক থেকেই ফাইটারও। ওটাই দেখিয়েছে।’
ঢাকা টেস্টে জয়ের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য যে বিষয়টি ছিল তা হলো, ২০১৪ সালের পর বাংলাদেশ ৩ পেসার নিয়ে দেশের মাটিতে খেলতে নেমেছিল। বোলিং অপশন বেশি থাকায় বোলাররা বিশ্রাম নিয়ে ভালো সার্ভিস দিতে পেরেছে। সামনেও সেরা কম্বিনেশন বাছাইয়ে তিন পেসার খেলার সুযোগ কাজে লাগাতে চান সাকিব, ‘আপনার যদি বিশ উইকেট নিতে হয়, বোলিং অপশনটা বেশি নিতে হবে। এটার বিকল্প আসলে নেই। কম বোলিং অপশন তখনই থাকে যখন আপনি রক্ষণাত্মক মানসিকতায় থাকেন। ড্র করার চিন্তা বা কোনো রকম ব্যাটিংটা ভালো করার চিন্তা থাকে। যখন আপনি জিততে চাইবেন পাঁচ বোলার, ছয় বোলারের অপশন নিয়ে খেলবেন। বড় বড় দলগুলো এরকম অবস্থাতে তারা আছে। বিশেষত আপনি যদি ইংল্যান্ড- ভারতে দেখেন, ওদের পাঁচ-ছয়জন মেইন বোলার; ছয়জন ব্যাটসম্যান নিয়ে ওরা খেলে।’
লেট অর্ডারে বাংলাদেশের প্রাপ্তি মিরাজের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। মিরাজের সামর্থ্যকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে চান সাকিব, ‘ মিরাজও এখনও এরকম ক্যাপেবল ব্যাটসম্যান যে সাত নম্বরে ব্যাট করতে পারে। ও যদি সাত নম্বরে ব্যাট করে আমাদের বোলিং অপশন আরও বেশি হবে। যেটা আমাদের দলের জন্যই ভালো। সবাই যথেষ্ট বিশ্রাম পাবে, চাপ পড়বে না।’