নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া হাঁটু গেড়ে বসে প্রেম নিবেদন করা সেই তরুণ-তরুণী অবশেষে বিয়ে করেছেন। তবে এ বিয়ের ১৮ দিনের মাথায় তরুণীকে যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলাও হয়েছে।
রোববার সকালে ফতুল্লা মডেল থানায় তরুণী মনি আক্তার নির্যাতনের অভিযোগ এনে স্বামী শ্বশুর শাশুড়িসহ ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার মাসদাইর এলাকার মজিবুর সরদারের মেয়ে মনি আক্তারকে (২৩) একই থানাধীন আফাজনগর এলাকার সেলিম আহমেদের ছেলে আসিফ আহমেদ (৩২) প্রেমের সম্পর্কে ২৬ মার্চ ১৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মনিকে তার বাবার বাড়ি রাখেন আসিফ। পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে আসিফ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাবেন। এর মধ্যে আসিফ প্রায়ই মনির বাসায় আসা যাওয়া ও অবস্থান করতেন।
বিয়ের বিষয়টি আসিফ তার বাবা-মাকে জানালে তারা মনিকে মেনে নেওয়ার জন্য তার বাবার বাড়ি থেকে কাপড়ের ব্যবসার জন্য ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এতে ৮ এপ্রিল দুপুরে ৮ লাখ টাকা নিয়ে যায়। বাকি দুই লাখ টাকা দ্রুত দেওয়ার জন্য বলে যায়। ১৪ এপ্রিল সকালে বাকি টাকা না পেয়ে আসিফ, তার বোন আফরিন, বাবা সেলিম আহমেদ ও মা নার্গিস বেগম বাসায় গিয়ে মনি আক্তারকে মারধর করে চলে যান। পরে পরিবারের লোকজন এসে মনিকে উদ্ধার করে শহরের খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করান।
মনি আক্তার বলেন, তিনি নিজ বাসায় বিউটি পার্লার দিয়ে বিউটিশিয়ানের কাজ করেন। আর আসিফ কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন। বাসার সামনে প্রথম দেখায় আসিফ তার পিছু নেয়। এরপর যখন তখন বাসার সামনে দাঁড়িয়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে দেখা সাক্ষাত ও নানা জায়গায় ঘোরাফেরা হয়। ওই সময় আসিফ হাঁটু গেড়ে বসে প্রেম নিবেদনসহ নানা ভঙ্গিতে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়েন।
এতে এলাকায় নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। এজন্য কথাবার্তা কমিয়ে দিলে আসিফ আত্মহত্যা করার হুমকি দেন। পরে আসিফের পাগলামিতে বিয়ের জন্য রাজি হন মনি আক্তার।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন জানান, মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।