হার্টের রোগী স্বামীর কাছে সিগারেট বিক্রি করতে দোকানদারকে নিষেধ করায় লোকজন নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফতাব উদ্দিন দেওয়ানের বসত বাড়িতে ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দোকানদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি তালতলা এলাকায়। নারায়ণগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আফতাব উদ্দিন দেওয়ানকে জালকুড়ি তালতলা এলাকায় চেনে না এমন কেউ নেই। ব্যক্তিত্ব ও সুনামধন্য একজন ব্যাক্তি ছিলেন তিনি। যার ছেলে আবু হানিফ দেওয়ান রনি। সুনামধন্য ও উচ্চ বংশের ছেলে তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৮ জুন শনিবার বিকেলে লুকিয়ে দোকানে সিগারেট পান করতে গেলে স্ত্রী টের পেয়ে পেছন পেছন গিয়ে তার স্বামী সিগারেট ক্রয় করার কারনে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এরপরে তার স্বামীর কাছে দোকানদেরকে সিগারেট বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কারণ, হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় অপারেশনের মাধ্যমে তিনটি রিং স্থাপনসহ চিকিৎসা নিয়ে এর একদিন আগেই গত ১৭ জুন শুক্রবার বাড়ি ফেরেন দেওয়ান রনি। এ অবস্থায় সিগারেট ঝুঁকিপূর্ণ জেনে স্ত্রী পূর্বেই তার স্বামীর কাছে দোকানদার জাকির হোসেনকে সিগারেট বিক্রি করতে নিষেধ করেন। এ কথা কে কেন্দ্র করে রনির স্ত্রীর সঙ্গে রেগে উঠেন দোকানদার জাকির এবং চড়াও হয় সেলি বেগমের উপর। দেওয়ান রনি বলেন, আমি লুকিয়ে দোকানে গিয়ে সিগারেট জালানোয় আমার স্ত্রী আমার সাথে রাগারাগি করে। আমি এর জন্য দোকানদারের কাছে হাত জোড় ক্ষমা চাই এবং আমার স্ত্রীকে বাসায় নিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু দোকানদার জাকির হোসেন আমার স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে নানা ধরনের অকথ্য ও অশালীন ভাষায় কথা বলে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কি করে আমার সাথে। পরে আমরা বাসায় চলে আসার পর দোকানদার একাধিক লোকজন এনে রাস্তায় দাড়িয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে গালমন্দ ও হুমকি প্রদান করে। এসময় তারা আমার বাড়ির নিচতলার জানালার থাই গ্লাস ভাঙচুর করে। যার নেতৃত্ব দেয় নাসিক ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল, জামান ও দোকানদার জাকির হোসেন। এ ঘটনাটি এলাকাবাসী জানার পর উক্ত হামলার প্রতিবাদে এলাকার সুশীল সমাজ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলছে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও অসুস্থ মানুষের উপর ও তার বাড়িতে এই রকম সন্ত্রাসী হামলার করা উচিত হয় নি। আমরা অতিদ্রুত এই হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই প্রশাসনের নিকট। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী দেওয়ান রনি ও তার স্ত্রী সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক মো. আসাদ সবুজ। তিনি মুঠোফোনে জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগকারীর বাড়ির নিচ তলার জানালার কাঁচ ভাঙা পেয়েছি। কারা ভেঙেছে, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।