নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি হাটের দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে দুপক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে শেখ মেহেদী হাসান, সজল মিয়া, জাবেদ মিয়া, পারভেজ মিয়া, রানা, মিরাজ হোসেন, আব্দুল আলী, বাবু, ফারুক প্রধান, রবিউল প্রধানের নাম জানা গেছে। তাদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া আহতদের মধ্যে শেখ মেহেদী হাসান, জাবেদ ও সজলের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে উপজেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বুধবার সকালে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সজল মিয়া তার লোকজন ওই হাটের দরপত্র জমা দিলে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সজিব, যুবলীগ কর্মী সাগর, হৃদয়, অনিক, পলাশ, পায়েলসহ ২০/২৫ জনের একদল যুবলীগ নেতাকর্মী এসে বাধা দেয়।
এতে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়, এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ওই ১৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উপজেলা পরিষদ থেকে বিতাড়িত করে দেয় এবং উপজেলা চত্বর ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়রসহ সভাপতি সেলিম মিয়া জানান, যুবলীগের সমর্থকরা দীর্ঘ দিন ধরে হাটটি পরিচালনা করে আসছিল। আমরা এ বছর দরপত্র জমা দিতে গেলে আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সজিব মিয়া জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে আমাদের কথাকাটাকাটি হয়েছে। তারা যুবলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে তিনজনকে কুপিয়ে আহত করে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। বর্তমানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।