নারায়ণগঞ্জে সোনারগাঁয়ে ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ- ৩ (সোনারগাঁ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বাদল স্থানীয় নেতাদের মতামত উপেক্ষা করে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে তিনি এ লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আবদুল হাই ও আবু হাসনাত শহীদ অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে গত ১৬ ও ১৮ অক্টোবর সোনারগাঁ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা হয়। এ সভায় তৃণমূলের মতামত নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরসহ প্রতিটি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়নের জন্য প্রার্থীদের তালিকা করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদের কাছে পাঠানো হয়।
দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জেলা আওয়ামী লীগ সভা করে সব সদস্যের মতামত নিয়ে ওই তালিকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠানোর কথা। কিন্তু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলায় কোনো সভা না করেই অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।
সাবেক এই সাংসদ আরও উল্লেখ করেন, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হামিম শিকদার, সাদিপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ, শম্ভুপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানপ্রার্থী নাসির উদ্দিনের নিজ নিজ এলাকায় জনপ্রিয়তা আছে।
তাঁরা একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন। তৃণমূলের পছন্দের তালিকায় তাঁদের নাম প্রথম দিকে ছিল। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জনপ্রিয় নেতাদের নাম তালিকার পেছনে রেখে জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের নাম প্রথমে রেখে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের মৌখিকভাবেও জানিয়েছেন।
এদিকে জামপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হামিম শিকদার অভিযোগ করে বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অর্থের বিনিময়ে তৃণমূলের মতামতকে উপেক্ষা করে তালিকা পাঠিয়েছেন। তাঁদের পদ থেকে অপসারণের জন্য প্রয়োজনে আন্দোলনে যাওয়া হবে
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সভাপতি আবদুল হাইয়ের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত শহীদ বলেন, ‘আমরা কোনো অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত নই। জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনা করেই কেন্দ্রে তালিকা পাঠানো হয়েছে।