জান্নাত জাহা : নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলা। এ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং তার সুযোগ্য পুত্র নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিব। তারা পিতা পুত্র রাজনৈতিক অংঘনে খুবই জনপ্রিয় মুখ।বিগত সরকারের আমলে বি এন পির অন্য নেতাদের না দেখা গেলেও তারা সব সময় মাঠের কর্মীদের পাশেই ছিলেন। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে খাইরুল ইসলাম সজিব বলেন- মাঠ এখন অনেক গরম, এখন অনেক হাইব্রিড নেতাদের দেখা যাচ্ছে, আমার বাবা এবং আমি কোনদিন নিজ স্বার্থের জন্য রাজনীতি করি না। দলকে ভালোবাসি,বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলছি এবং দলকে আরো সুসংগঠিত করছি। আমরা দলে হাইব্রিড নেতাদের জায়গা দিবো না, কেউ যদি নব্য বি এন পি, ওসুসময়ের কোকিল পাখির মত হাইব্রিডদের নিয়ে দলকে প্রশ্ন বৃদ্ধ করে, তবে তা আমরা কখনো মেনে নিবো না।আমরা জনগনের মতের উপর বিশ্বাসী জাতীয়তাবাদ রাজনীতির আদর্শ কে লালন করি। শহীদ জিয়ার আদর্শের উপরেই রাজনীতি করবো। আপনারা বিগত দিনে আমার বাবাকে দেখেছেন, দলের জন্য অনেক কষ্ট করেছে। আমি বাবার মত দলকে ভালোবাসি নিঃস্বার্থে কাজ করে যেতে চাই, বাবার পাশে থেকে মানুষের খুব কাছে গিয়ে রাজনীতি করতে চাই।আরো এক প্রশ্নের জবাবে বলেন-আপনারা জানেন বিগত ১৭ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অত্যাচারে আমরা কিভাবে দলের পাশে থেকে হামলা মামলার শিকার হয়েছি জেল জুলুমের শিকার হয়েছি। নিজেদের ঘরবাড়ি পরিবারের কাছে থাকতে পারি নাই,এত অত্যাচারের পরেও মাঠ ছাড়িনি, রাজপথে ছিলাম,আছি,থাকবো। কিন্তু এতোদিন সোনারগাঁয় বড় বড় নেতা মন্ত্রী কোথায় ছিল সোনারগাঁয়ের মানুষ তা জানতে চায় । জনগণ এখন অনেক সচেতন, দু:সময় ছিলো না, সু-সময় এসে দলের সুবিধা নিতে চাচ্ছে অনেকে। আমার বাবা আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং আমি রাজনীতি করি দলকে মন থেকে ভালবাসি বলেই। আল্লাহ আমার বাবাকে যথেষ্ট ধন সম্পদ দিয়েছে।সোনারগাঁ এমপি হতে চাই কিছু নেওয়ার জন্য না,, সোনারগায়ের সাধারণ মানুষ কে কিছু দেয়ার জন্য। সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে চাই নিঃস্বার্থভাবে।।। আল্লাহ চায় তো, সবকিছু ঠিক করে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হয়,তবে ইনশাল্লাহ গততেও দেখেছেন আপনারা আমার বাবা আজহারুল ইসলাম মান্নান২০ ১৫ সালে আওয়ামী লীগের দুই প্রভাবশালী নেতা কে পরাজিত করে বিপুল ভোটে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।। এবারও যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, যদি দল মনোনয়ন দেয় জনগণের ভালোবাসায় আমার বাবা বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হবে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত থেকে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের ভূমিকা রেখেছে সজিব।। এত অত্যাচারিত হয়েছে তারপরেও ১৭ বছরে একদিনের জন্যেও এলাকা ছাড়েননি রাজপথেই ছিলেন। সজিবের বাবা আজহারুল ইসলাম মান্নানের ডাকে হাজারো নেতাকর্মীরা মুহুর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যান। সুবিধাবাদি নেতাদের সাথে ১০/১২ জনের বেশি লোক দেখা যায় না। সজিব জানান- তারা জনগনকে নিয়ে রাজনীতি করেন মৃত্যুর আগপর্যন্ত জনগনের পাশেই রাজনীতি করতে চান।