কমল হাসানের কন্যা শ্রুতি হাসানের ক্যারিয়ারের শুরুতে চেহারা যেমন ছিলো, এখন তেমন না। সেই সময় আর এই সময়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক।
স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা যায়, তিনি সার্জারি করিয়েছেন। এ নিয়ে অনেকদিন ধরেই চর্চা, বিতর্ক চলছিল। শ্রুতি নিজেও একাধিকবার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
তবে এবার বিস্তারিত জানিয়ে বললেন, তার শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কেবল তারই আছে। নিজেকে ‘সুন্দরী’ দেখানোর জন্য যদি সার্জারির দরকার হয়, এতে মন্দের কিছু দেখেন না তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শ্রুতি বলেন, ‘আমি আমার নাক ঠিক করেছি এবং এটা খুব স্পষ্ট। আমার নাক ভেঙে গিয়েছিলো এবং দেখে অন্যরকম ছিলো। সেই পুরনো নাক দিয়েই আমি প্রথম সিনেমা করেছি। কিন্তু তখন সবাই বলত, আমি নাকি নাক নিয়ে অযুহাত দিচ্ছি! না, আমার ডেভিয়েটেড সেপ্টাম (নাক সংক্রান্ত জটিলতা) ছিলো, এটা যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু আমি যদি এটাকে আরো সুন্দর করতে পারি, মুখটা আমার, তাহলে কেন করবো না? এটা এমনই সহজ ব্যাপার ছিলো। ’
এই সার্জারি নিয়ে অনেক সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে শ্রুতি হাসানকে। সে বিষয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার মনে হয় না, আমার নিজেকে একটি নির্দিষ্ট রূপেই দেখাতে হবে। তারা জানতে চায়, আমি ফিলার (সার্জারি) করিয়েছি কিনা; হ্যাঁ করেছি। আগামীতে কি মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করবো? হয়তো, হয়তো না। কে জানে! এটা আমার শরীর এবং যারা এটা নিয়ে যা করতে চায়, বা যা চায় না, তাদেরকে আমি প্রশ্রয় দেই না। ”
অভিনেত্রী আরো যোগ করেন, ‘আমি চাই না মানুষ এটা বলুক যে, শ্রুতি সবাইকে ফিলার করতে বলছে। না, যদি আপনি করতে চান, করুন। যদি না চান, তাহলে করবেন না। আমি যা করছি, সেটা আমাকে করতে দিন। ’
সর্বশেষ শ্রুতি হাসানকে দেখা গেছে ‘লাবান’ সিনেমায়। এটি গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পায়। বর্তমানে তার হাতে আছে ‘ওয়াল্টায়ের ভিরাইয়া’ ও ‘সালার’ সিনেমার কাজ। এছাড়া নান্দামুরি বালাকৃষ্ণের সঙ্গেও একটি সিনেমায় কাজ করছেন এই অভিনেত্রী।