সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড আটি হাউজিং এলাকায় বহুতল ভবনে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভবন মালিক প্রবাসী কাজী সোলেয়মানের বিরুদ্ধে।
এ ভবন মালিক হলো, আটি হাউজিং ২ নং রোডের ৫ তলা কাজী ভিলা ভবনের মালিক কাজী সোলেয়মান। ভবনটিতে ৪০ টির বেশী গ্যাসের চুলা ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
গত কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোলেয়মানের মানিকাধীন কাজী ভিলা সহ শতাধিক বহুতল ভবনের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। সেই দিন রাত্রেই সোলেয়মান তার হাউজিং ২ নং রোডে কাজী ভবনে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন বলে জানায় এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ৪ নং ওয়ার্ড হাউজিং ২ নং রোড কাজী বহুতল ভবনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে।
উক্ত বাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে ভবন মালিকের ভাই মনিরুল ইসলাম বলেন, আমার ১৮ টি চুলার অনুমতি আছে। অবৈধ রাইজার অভিযানে বিচ্ছিন্নের পর কিভাবে আবার রাইজার লাগিয়েছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে বলে এসব কিছু আমি জানিনা,,আমার ভাই সোলেয়মানের শশুর সব করেছে বলে জানান মনির।
এলাকাবাসী জানায়, ২০১০ সালে সোলেয়মানের বাড়ী গ্যাংস সংযোগটি কাটা ছিলো। ১ বছর পর অফিস নিয়ম অনুযায়ী তাদের গ্যাস সংযোগটি বাতিল হয়ে যায়। তারা আরও বলেন, এ বহুতল ভবনে ৩৫ থেকে ৪০ টি চুলা ব্যবহার করা হচ্ছে। নিজেরা রাইজার লাগিয়ে যে অপরাধ করেছে তার জন্য ভবন মালিককে জরিমানা সহ আইনের আওতায় আনার দাবি জানায় এলাকাবাসী।
সচেতন মহলের দাবি, উক্ত ভবনটিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
উক্ত বিষয় জানতে নারায়ণগঞ্জ তিতাসের গ্যাসের ম্যানেজার মোস্তাক মাসুদ ইমরান বলেন, কিছুদিন আগে সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং এলাকায় আমরা অভিযান চালিয়ে প্রায় শতাধিক বহুতল ভবনের অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। কোন বাড়ির মালিক যদি অবৈধভাবে আবারো ভবন গুলোতে গ্যাস সংযোগ দিয়ে থাকেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং উক্ত ভবন গুলোতে অভিযান চালানো হবে।