নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্প।
সরজমিন বুধবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে সাইনবোর্ড, সানাড়পাড়, মৌচাক চিটাগাং রোডসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায় কোথাও গাড়ির চাপ বা জট নেই। সকলেই স্বস্তির ঈদযাত্রা করছেন।
এর মধ্যে যারা বাড়ি যাওয়ার মত তারা নির্বিঘ্নে যাচ্ছেন। এরকম মহাসড়কের দৃশ্য দেখে যাত্রীদের পাশাপাশি খুশি যানজট নিয়ন্ত্রণে থাকা ট্রাফিক পুলিশও।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) মো. শরফুদ্দিনের অভিজ্ঞতা, মেধা ও অন্যান্য সার্জেন্টসহ ট্রাফিক সদস্যদের কর্মদক্ষতার সমন্বয়ে মহাসড়ক যানজট মুক্ত রয়েছে বলে জানান পরিবহন শ্রমিকরা।
চিটাগাংরোড (শিমরাইল মোড়) পরিবহন কাউন্টারের এক শ্রমিক রাজা বলেন, প্রতিবছর ঈদের সপ্তাহখানেক আগ থেকেই মহাসড়কে তীব্র যানজট দেখা গেলেও এবার চোখে পড়েছে ভিন্ন চিত্র।
আগে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগেই থাকতো এবার তার উল্টো চিত্র মহাসড়ক একেবারেই যানজট মুক্ত। ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রীর ফিরছেন বাড়ি।
বাড়ি ফেরা ষাটোর্ধ্ব এক নারী যাত্রী সুমাইয়া জানান, মহাসড়ক যানজটমুক্ত হওয়ায় এবারের ঈদে বাড়ি ফেরার অনুভুতিটাই অন্যরকম। পথে পথে নেই ভোগান্তি। ঢাকা-চট্টগ্রাম, মহাসড়ক এত দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবর্তন হবে কখনো ভাবতে পারিনি।
আগে যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা এ সড়কগুলোতে যানজট লেগেই থাকতো এখন আর তা নেই। যানজট কম হওয়াতে যাত্রীসহ সকলের ভোগান্তি অনেক কমেছে।
তবে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমীকদের আশংকা ঈদের ছুটির দিন থেকে পরিবহনের চাপ বাড়লে যানজট সৃষ্টি হতে পারে। তবে ঈদের আগে ও পরের সাতদিন বর্তমান সময়ের মতো ট্রাফিক পুলিশ তাদের কর্মদক্ষতা অব্যাহত রাখলে যানজটমুক্ত থাকা সম্ভব।
কথা হয় কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল ক্যাম্পের ইনচার্জ (টিআই) এ.কে. এম শরফুদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান ও একমাত্র উদ্দেশ্য হলো আসন্ন ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে যানজট মুক্ত মহাসড়ক এবং স্বস্তিদায়ক যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমি এবং আমার হাইওয়ের প্রতিটি পুলিশ সদস্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। ইতিমধ্যেই এর সুফল পেতে শুরু করছে যাত্রীরা। ধীরে ধীরে পাল্টে যাচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যানজটের চিরচেনা রুপ।
চলতি কর্মতৎপরতা অব্যাহত রাখা এবং সকলকে যানজট মুক্ত মহাসড়ক উপহার দেওয়াই এবারের মূল লক্ষ্য বলে তিনি আরো জানান।