নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত নিহতদের লাশ পরিবারের কেউ নিতে আসেনি বলে জানায় পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম মনজুরুল ইসলাম বাদী হয়ে শনিবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন। পারিবারিক সমস্যার জন্য তারা নিজেরাই আত্মহত্যা করেছে এবং মৃত্যুর পর তাদের উভয়কে একই সাথে কবর দেয়ার আহ্বান জানিয়ে লেখা একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা তারা বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন।
নিহত স্বামী রবিউল ইসলামের পিতার নাম আবু তালেব। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার সদর থানার সরদারপাড়া কানিয়ালখাতা এলাকায়। নিহত স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ওরফে লাকী দাসের পিতার নাম অনীল দাশ। তার গ্রামের বাড়ি বান্দরবন জেলার সদর থানাধীন নিউগুলাশন হাসপাতাল এলাকায়।
৯৯৯ এর ফোন পেয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী সিআইখোলা কালাহাতিয়ারপাড় (হাজীনগর) এলাকার একটি পাঁচতলা ভবনের ৫ম তলা থেকে স্বামী রবিউল ইসলাম (২৬) ও স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ওরফে লাকী দাস (৩৮) এর লাশ উদ্ধার করে। শনিবার সন্ধ্যায় ভবনের দরজা ভেঙ্গে বাসার ভেতর থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, এ ঘটনায় আমরা একটি অপমৃত্যু মামলা নিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে তারা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আসল ঘটনা বুঝা যাবে।
ওসি আরো বলেন, নীলফামারী জেলার ৯নং ইটাখোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হেদায়েত উদ্দিনের মাধ্যমে স্বজনদের সাথে আমরা যোগাযোগ করি নিহদের লাাশ নেওয়ার জন্য। কিন্তু নিহতদের কোন স্বজন আমাদের সাথে লাশ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেনি।