রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের ইউটার্নে অবৈধ বাসস্ট্যান্ড বসিয়েছে নাফ পরিবহন। এতে মহাসড়কে যেমন তৈরি হয় যানজট তেমনি ইউটার্ন পারাপারে ঝুঁকি নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
রোববার (২৪ অক্টোবর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে নাফ পরিবহণের কর্তৃত্ব যেন দেখার কেউ নেই। মহাসড়কের উপরই বসিয়েছে অবৈধ এই বাসস্ট্যান্ড।
যার কিছু সামনেই (পূর্ব দিকে) রয়েছে হাইওয়ে পুলিশের শিমরাইল পুলিশ বক্স। তবে মহাসড়কের মধ্যে নাফ পরিবহণের বাসস্ট্যান্ড রহস্যজনক কারণে তাদের চোখে পড়ছে না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নাফ পরিবহণ শিমরাইল মোড় থেকে সোনারগাঁয়ের মোরগাপাড়া চৌরাস্তা পর্যন্ত চলাচল করে। মহাসড়কে এই পরিবহণের অনুমতি ও অনুমতি ছাড়া প্রায় ২৫/৩০ টি বাস চলাচল করে থাকে। মহাসড়কে এই নাফ পরিবহনের অনেক বাস দেখা গেছে যাদের নাম্বার প্লেটই নেই।
তবে তারা মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নির্দ্বিধায়। দৈনিক নাফ পরিবহণের বাস প্রতি ৮৫০ টাকা (জিপি) জমা নেয়া হয়। পরিবহনের এই জিপির টাকার বড় একটি অংশ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাকর্মী ও হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাসড়কের পাশের এক বাস কাউন্টার মালিক জানান, নাফ পরিবহনের একাধিক বাসের চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক। তাদের নাই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স। তারা সবসময় বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায়। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশও কোন ব্যবস্থা নেয় না।
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা তাদের শেল্টার দিয়ে থাকেন। তাদের শেল্টার পেয়ে এই পরিবহনের লোকেরা দিনদিন আরও বেপরোয়া হয়ে গেছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক নাফ পরিবহণ বাসের একজন চালক বলেন, আমরা যাত্রী নেওয়ার জন্য ইউটার্নের এখানে বাস দাঁড় করাই। মহাসড়কের মধ্যে তো আর এমনে এমনে দাঁড়াই না। খরচ দিয়েই বাস দাঁড়া করাই।
তবে এই পরিবহনের এক হেলপার বলেন, হাইওয়ে পুলিশকে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয়। না দিলে গাড়ি আটকে মামলা দিয়ে দেয়। আমরা কোথায় যাবো। ভাই আমরা পেটের দায়ে রাস্তায় গাড়ি চালাই।
টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা কারো কাছ থেকে কোন টাকা নেই না। তবে হাইওয়ে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে কেউ টাকা নিলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি কেউ রাস্তা দখল করে অবৈধ স্ট্যান্ড তৈরি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি এখনই রেকার পাঠচ্ছি।