নাসিক ১ নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে। পাইনাদী ও বাতেন পাড়া এলাকায় বহুতল ভবন ১ হাজারেরও বেশি গড়ে উঠেছে। এইসব ভবনে বেশির ভাগই অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব ভবন থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে নামধারী সন্ত্রাসী ঠিকাদাররা। তিতাসের কর্মকর্তাদের নাম বলে এসব টাকা তোলা হয় । উক্ত এলাকাগুলোতে তিতাসের অভিযান হয়নি বলে জানায় এলাকাবাসী। রাতের আধারে এসব ভবনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। এসব ভবন থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ১ নং ওয়ার্ড পাইনাদি নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় নতুন বহুতল ভবন হাজারেরও বেশি গড়ে উঠেছে। এসব ভবনের বেশিরভাগ গ্যাস সংযোগ অবৈধ বলে জানা যায়। অতিরিক্ত চুলা থেকে প্রতিমাসে এক একটি ভবন থেকে ৩০ থেকে ৪০ হাজার করে টাকা তোলা হয় নারায়ণগঞ্জ তিতাস অফিসের কথা বলে। যেসব ভবন মালিক প্রতিমাসে টাকা দিবে তাদের অবৈধ গ্যাস সংযোগ আর বিচ্ছিন্ন করা হবে না। এলাকাবাসী জানায়, সিটি কর্পোরেশনের ১ নং ওয়ার্ড পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া এলাকায় বেশিরভাগ বাড়িতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব বাড়ি থেকে প্রতি মাসে ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা আদায় করছে ঠিকাদাররা। তিতাসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ঠিকাদার ও এলাকার মাস্তানদের দিয়ে এসব টাকা কালেকশন করানো হয়। তারা আরো বলেন, রহস্যজনক কারণে তিতাস কর্মকর্তারা পাইনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়ায় অভিযান চালাচ্ছেন না। কারণ এই পাদনাদী নতুন মহল্লা ও বাতেন পাড়া থেকে প্রতি মাসে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধ ভাবে আদায় হচ্ছে। এতে করে সরকার মাসে কোটি-কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
সচেতন মহলের দাবি, উক্ত এলাকাগুলোতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভবন মালিক ও ঠিকাদারদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।
সেই সাথে তিতাসের যেসব অসাধু কর্মকর্তারা এই অবৈধ কাজে জড়িত আছেন তাদের বিরুদ্ধে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
নারায়ণগঞ্জ তিতাসের গ্যাসের ম্যানেজার মোস্তাক মাসুদ ইমরান বলেন, উক্ত এলাকাগুলোতে অতি দ্রুত অভিযান করা হবে। সেই সাথে অবৈধ গ্যাস সংযোগকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যে সব ঠিকাদার এই কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা।
উক্ত বিষয়ে জানতে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হারুনুর রশিদ মোল্লার মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উক্ত বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, আমরা যদি অবৈধ গ্যাস সংযোগে বিষয় তথ্য পাই তাহলে গ্যাস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। সেই সাথে যারা এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।