‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। পঁচাত্তরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সঙ্গে তার সোনার বাংলার স্বপ্নকেও খুন করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেত। তিনি জীবিত থাকলে বাংলাদেশ তার আরাধ্য সোনার বাংলা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেত। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাকি কাজ বাস্তবায়ন করছেন তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিনত হবে।’
শনিবার (২০ আগষ্ট) দুপুরে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে রূপগঞ্জ উপজেলার রূপসী এলাকায় রূপসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি ও তারাবো পৌরসভার মেয়র হাসিনা গাজী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবার জন্য যারা ষড়যন্ত্র করছেন তারাই মূলত একাত্তর সালে এই দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। এই গোষ্ঠীটা নানাভাবে তৎপর আছে এদেশের উন্নয়ন যাত্রাকে ব্যাহত করবার জন্য। বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র ১৯৭১ সাল থেকেই শুরু হয়েছিল এবং এই ষড়যন্ত্র ধীরে ধীরে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শেষ করার পায়তারা করেছিল। তারপর থেকেই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে ঘিরে চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, আসলে বাংলাদেশ যখনি এগিয়ে যায় তখনি নানা রকম বাধা-বিপত্তি ষড়যন্ত্র শুরু হয়। এই ষড়যন্ত্র করার মাধ্যমে এই দেশটাকে আবার পিছনে নিয়ে আসার পাঁয়তারা দেখতে পায়। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আজকের বাংলাদেশে যেসকল উন্নয়ন কার্যক্রম হচ্ছে তার সব কিছুর মূলেই রয়েছে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা উন্নয়নের আশার আলোতে বসবাস করছি। এক সময় যে বাংলাদেশ ছিল দরিদ্র ও অনুন্নত সেই বাংলাদেশ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দৃপ্ত পায়ে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে চলেছে। আমাদের দেশের একটি কুচক্রীমহল নানা ধরণের ষড়যন্ত্র বা গুজব ছড়াচ্ছে। এই সকল ষড়যন্ত্র আমাদের রুখে দিতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রূপসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ খান মুন্না ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মুফতি ওবায়দুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, তারাবো পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আক্তার হোসেন মোল্লা, রূপসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত ভুঁইয়া, রূপসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার জহিরুল ইসলাম, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শীলা রাণী পাল, তারাবো পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফিরোজ খান, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শামীম মাহবুব, রূপসী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য সুরুজ্জামান ভুঁইয়া ও ডা. মেজবাউল হাসানসহ নেতৃবৃন্দ।