নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ঐতিহাসিক ‘খেলা হবে’ ডায়লগের কড়া সমালোচনা করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতৃবৃন্দরা।
রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে বাধা, হামলা-মামলা, দমন-পীড়ন, গুলি-হত্যা বন্ধ করার দাবিতে ৭টি দলের রাজনৈতিক জোট ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুল রব, নাগনিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম।
এসময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ‘খেলা হবে’র সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রতিপক্ষের হাত পা বেধে, আর নিজেরা পুলিশ বাহিনীকে সাথে নিয়ে তারা বলে খেলা হবে। খেলা পরে হবে, আগে আন্দালন হবে, লড়াই হবে। নির্বাচনের খেলায় আসেন, আমরা আপনাদের হাত পা বাধবো না, সমস্ত অধিকার নিয়েই নির্বাচন করতে পারবেন। এতোদিন বিদেশিদের সমর্থনে মানুষের উপর অথ্যাচার করে, শাসন চালিয়ে যেতে পেরেছেন। এখন গণজোয়ার তৈরি হচ্ছে। তাই বিদেশিরাও পিছন থেকে সরে যাচ্ছে। তাদের পায়ের তলায় এখন আর মাটি নাই।’
নাগনিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এইযে ‘খেলা হবে’ নিযে এতো কথা হলো, এই শব্দটা কিন্তু আমাদের রাজনীতিতে অনেক ব্যবহৃত হয়। এই খেলার কথা বলে ক্ষমতাশীনরা মনে করে, গায়ের জোর ছারা ক্ষমতায় থাকার আর কোন পথ নাই। এখনকার সরকারি দল ভোটে জিতবে না, ভোট দিবে না, আপন যতই বলেন আপনার কোন কথা শুনবে না, আপনারা যে কোন সভা করতে দিবে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলে ‘খেলা হবে, আসুন খেলো’।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংসদ সদস্যদের একজন নারায়ণগঞ্জের একেএম শামীম ওসমান। আর ‘খেলা হবে’ সংলাপের মধ্য দিয়ে তাঁর জনপ্রিয়তার মাত্রা ছড়িয়ে পড়ে দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাংলা ভাষাবাসীদের মাঝে। পশ্চিমবঙ্গের সবশেষ নির্বাচনেও শামীম ওসমানের সেই ‘খেলা হবে’ সংলাপটি স্লোগন হিসেবে ব্যবহার করে জয় পেয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এমনকী, তৃণমূলকে আক্রমণ শানাতে গিয়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগানের সমালোচনা করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। (সূত্র: লাইভ নারায়ণগঞ্জ)