চলতি বছরে ভারতে অনুষ্ঠিত হবে আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অবিশ্বাস্য এক জয় তুয়ে নিয়েছে টাইগাররা।
৪৫ ওভারের খেলায় ৩২০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তির অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে ৩ বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ।
তবে এদিন জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ হন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। তামিম ৭ ও লিটন ২১ রান করে বিদায় নেন। দলীয় ৪০ রানে দুই ওপেনকে হারিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর সাথে দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান।
বিশ্বসেরা সাকিবও বিদায় নেন দলীয় ১০১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২৬ রানে। এরপর তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়কে সাথে নিয়ে অবিশ্বাস্য এক সেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৩ বলে ১১টি বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শান্ত।
তবে সেঞ্চুরি না পেলেও অসাধারণ এক ইনিংস উপহার দেন হৃদয়। তিনি ৫৮ বলে ৬৮ রান করে বিদায় নেন। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ৪ উইকেটে ২৩২ রান। সতীর্থকে হারিয়ে ফিরে বিদায় নেন শান্ত। তিনি ফেরেন ৯৩ বলে ১১৭ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলে।
শেষ দিকে মুশফিকের সাথে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন মিরাজ। তবে শেষ ওভারে দারুণ ব্যাট করে নো বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। তিনি ২৮ বলে করেন অপরাজিত ৩৬। এছাড়া তাইজুল বিদায় নেন ৯ রান করে। তবে পেসার শরিফুল ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে চেমসফোর্ডে নির্ধারিত ৪৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৯ রান করে আয়ারল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে হাসানের ওভারের পঞ্চম বলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পল স্টার্লিং। হাসানের ইনসুইং বলে স্টার্লিং ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। ২ বল খেলেও কোনো রান তুলতে পারেননি এ ওপেনার। ওপেনাকে হারিয়ে আয়ারল্যান্ড ইনিংস গড়ার চেষ্টা করে স্টেফেন দোহেনি ও অ্যান্ড্রু বালবার্নির জুটিতে।
কিন্তু দুজনে মিলে স্কোর বোর্ডে আর ১৫ রান যোগ করলে ফের আঘাত হানেন হাসান। এবার তার শিকারে পরিণত হন দোহেনি। স্টার্লিংয়ের মতোই দোহেনি ক্যাচ দেন মুশিকে। ফেরার আগে ২১ বলে ১২ রান করেন আইরিশ ওপেনার। বালবার্নি ও হ্যারি টেক্টরের জুটিতে ঘুরতে থাকে আয়ারল্যান্ডের রানের চাকা।
তার আগে নতুন জীবন পাওয়া টেক্টর শেষ পর্যন্ত ফিফটি তুলে নেন ৫২ বলে। পরের ওভারে দলীয় ১০০ রান পূর্ণ করে আইরিশরা। আয়ারল্যান্ড শতরান তোলার পরপরই বালবার্নির উইকেট পায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৪২ রানে আইরিশ ব্যাটার শরিফুলের বলে বাংলাদেশ উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন।
উইকেটে নেমেই সজোরে মারতে থাকা লরকান টাকারকে সাজঘরে পাঠান শরিফুল। ১১ বলে ১৬ রান করেন টাকার। এরপর দলীয় ১৬৭ রানে কার্টিস ক্যাম্ফারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তাইজুল ইসলাম। এরপর উইকেট ধরে রেখে তাণ্ডব চালাতে থাকে আয়ারল্যান্ড।
টেক্টর ও ডকরেল দুজনেই ছিলেন ভয়ঙ্কর মারমুখী। ৯৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন টেক্টর। সেঞ্চুরি করে আরও বিধ্বসী হয়ে উঠেন এ ব্যাটার। ১৪০ রানে তাকে সরাসরি বোল্ড করেন এবাদত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ডকরেল। ৪৭ বলের ইনিংসে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৭৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। মার্ক অ্যাডায়ার করেন ২০ রান। বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও শরিফুল। এবাদত হোসেন ও তাইজুল নেন একটি করে উইকেট