লৌহজং(মুন্সীগঞ্জ )প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গোয়ালিমান্দ্রা হাটের সেট সংস্কার কাজে অনিয়ম ও অবহেলার অভিযোগ উঠেছে কন্ট্রাক্টর শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে। কাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা পাইকাররা।
প্রায় ২০ বছর আগে হাটে পাইকারদের বসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েকটি সেট নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন মেরামত না করায় নয়টি সেট অচল হয়ে পড়ে। চলতি বছরে বরাদ্দ দিয়ে কন্ট্রাক্টর শফিউল্লাহকে সংস্কার কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পাইকারদের অভিযোগ, নতুন টিন লাগানোর কথা থাকলেও তিনি পুরনো টিন রং করে ব্যবহার করতে চাইছিলেন। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায় এবং দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে কন্ট্রাক্টর উধাও রয়েছেন।
চাউলের দোকানদার মোল্লা মনির অভিযোগ করেন, পুরনো টিন তার কাছে বিক্রি করার নাম করে শফিউল্লাহ তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়েছেন। সাংবাদিকরা কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে নতুন বিতর্ক দেখা দেয়।
প্রথমে কন্ট্রাক্টর ফোন ধরেন এবং অগ্রিম নেওয়া বিষয়টি অস্বীকার করেন। কাজ বন্ধের কারণ জানতে চাইলে উত্তেজিত হয়ে বলেন “ফাইল হারিয়ে গিয়েছে” এবং ফোন কেটে দেন। পরে ফোনে নিজেকে মুন্সীগঞ্জ অফিসের ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার পরিচয় দেন। তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং কাজ বন্ধকে ‘গুরুত্বহীন’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, একজন সরকারি ইঞ্জিনিয়ার কিভাবে কন্ট্রাক্টরের ফোন রিসিভ করছেন। কেবল কন্ট্রাক্টরের অনিয়ম নয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে।
হাটের ইজারাদার মোঃ কাউসার শেখ বলেন, “পাইকাররা আমাকে অভিযোগ জানালে কন্ট্রাক্টরকে জানিয়েছিলাম, আর্থিক সমস্যা থাকলে অন্তত দুটি সেটের কাজ শেষ করুন। কিন্তু শফিউল্লাহ আমার কথাও শুনেননি।”
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নেছার উদ্দিন জানান, বিষয় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাইকাররা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “সংস্কার কাজ দ্রুত সম্পন্ন না হলে হাটের ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।” তারা উপজেলা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।