রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউয়িন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাহাজ্ব মো. জাহেদ আলীর নৌকা প্রতীকের বরুনা এলাকার নির্বাচনী ক্যাম্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরও নৌাকা প্রতীকের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমানের সমর্থিত ৩০/৩৫ সদস্যেও একদল সন্ত্রাসী রাম দা, ছুরি, ছেনি, এসএস পাইপ, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর করে।
কুপিয়ে চেয়ার, টেবিল, নৌকার প্রতীক, নির্বাচনী ক্যাম্পে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাংচুর করে পদদলিত করে। এসময় নির্বাচনী ক্যাম্পে থাকা নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা নিরাপদ আশ্রয় নেয়।
পরে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা জোটবদ্ধ হয়ে ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। হামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরাও অংশ নেয় বলে অভিযোগর য়েছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল পুলিশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা শ্রী রবি রায় বলেন, কালো টাকা, বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হাতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ভোটাররা আজ ভীত সন্ত্রস্ত।
আওয়ামীলীগের মনোনীত চেয়ারম্যানপ্রার্থী আলহাজ্ব মো. জাহেদ আলী বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নৌকার গণসংযোগে হামলা, নেতাকর্মীদেও ভয়ভীতি, হুমকি, নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুর ও নৌকা প্রতীকের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলাহচ্ছে।
বিএনপি, জামায়াত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থিত সন্ত্রাসীরা নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গ কওে অনিয়ম চালাচ্ছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে নিরব ভুমিকা পালন করছে।
আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনেই গণসংযোগ করা হচ্ছে। নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনায় আমাদের কেউ জড়িত নয়। প্রতিহিংসামূলক আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের বরুনা এলাকার নির্বাচনী ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনা পুলিশ পরিদর্শন করেছে। সুষ্ঠু তদন্ত কওে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।