রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের তান্ডব চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে আকবর বাহিনীর বিরুদ্ধে। রোববার রাতভর আকবর বাহিনীর সদস্যরা এলাকাবাসীর উপর হামলা চালালে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এইচএসসি পরিক্ষার্থীসহ অন্তত আট জন আহত হয়েছে। একপর্যায়ে আকবর বাহিনীর সদস্যরা ভাংচুর লুটপাট করে।
এদিকে আকবর বাহিনীর শিমুল ভুইয়া নামের একজন এইচএসসি পরিক্ষার্থীকে এইচএসসি পরিক্ষার্থী শিমুল ভুইয়াকে একা পেয়ে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিমুলের পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায়। পরে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিমুল ভুইয়া ডেমড়া মহাবিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে আকবর বাহিনীর সদস্যরা। এ বাহিনীর অত্যাচারে উপজেলার তারাব বাজার এলাকাসহ আশপাশের এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, আকবর বাহিনীর প্রধান আকবর বাদশাসহ এ বাহিনীর সদস্যরা পুলিশের উপর হামলা, চাঁদাবাজি, হত্যা, জমিদখলসহ নানা অপরাধমুলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে আসছে। তারাব এলাকার মুনসুর আলী নামে এক ব্যক্তির জমি দখলের চেষ্টা নিয়ে আকবর বাদশার সঙ্গে মুনসুরের বিরোধ দেখা দেয়।
রোববার সন্ধ্যায় মুনসুরের বন্ধু বকুল ভুইয়ার ছেলে এইচএসসি পরিক্ষার্থী শিমুল ভুইয়াকে একা পেয়ে জোরপুর্বক তুলে নিয়ে যায় আকবর বাদশাসহ এ বাহিনীর সদস্য মোবারক হোসেন, কুত্তা শ্রাবন, চোর মেহেদীসহ ১০/১২ জন। এরপর শিমুলকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শিমুলের পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায়। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পরে আকবর বাহিনী ধারালো ও দেশীয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এবং চনপাড়া পূর্ণবাসন কেন্দ্র এলাকা থেকে ভাড়া করা লোকজন এনে প্রতিবাদী এলাকাবাসীর উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় এলাকাবাসীও পাল্টা হামলা চালায়। রাতভর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকার নিরীহ মানুষের অন্তত ২০ থেকে ২৫টি দোকানপাট ও ২টি বাড়ি ভাংচুর করে।
এসময় কয়েক স্থানে লুটপাটও করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে মৃদুল ভুইয়া, মহিউদ্দিন ভুইয়া, রবিন মিয়াসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যেকোন সময় আবারো সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে আকবর বাহিনীর প্রধান আকবর বাদশার সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
এ ব্যপারে মুনসুর আলী বলেন, আমার জমি দখলে নিতে না পেরে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এলাকায় সব ধরনের অপরাধ মুলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে যাচ্ছে এ বাহিনী। মামলা হলে জামিনে বের হয়ে ফের নানা ঘটনা ঘটায়।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।