শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

রাশিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার প্রধান প্রিগোশিন নিহত

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৩, ৪.০৪ এএম
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

অর্থের বিনিময়ে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন রাশিয়ায় একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। উড়োজাহাজটিতে প্রিগোশিন ছাড়াও আরও নয় জন যাত্রী ছিলেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিবিসি বলছে, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটিতে ওয়াগনার প্রধান প্রিগোশিন যাত্রী হিসেবে ছিলেন।

অপরদিকে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম আরটি একই ধরনের খবর প্রকাশ করেছে।

রুশ সংবাদমাধ্যম বলছে, বুধবার রাশিয়ার টাভার অঞ্চলের কুজেনকিনো গ্রামের কাছে একটি প্রাইভেট জেট বিধ্বস্ত হয়। এটি মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ যাচ্ছিল।

রাশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, উড়োজাহাজটিতে থাকা ১০ জনের সবাই মারা গেছেন।

আর ওই উড়োজাহাজের যাত্রীদের নামের তালিকায় ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন ছিলেন।

বার্তা সংস্থা তাস রাশিয়ার এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, এমব্রেয়ার বিমানটি শেরেমেতিয়েভো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এটিতে তিন জন ক্রু ও সাত জন যাত্রী ছিলেন। তারা সকলেই মারা গেছেন।

রুশ সংবাদমাধ্যম ওই বিমানটিকে এমব্রেয়ার লিগ্যাসি ৬০০ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যেটি প্রিগোশিন নিয়মিত ব্যবহার করে থাকেন।

তবে রুশ কর্মকর্তারা প্রিগোশিন মারা গেছেন কি না, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করেননি।

এমনকি, বিবিসির প্রতিবেদনেও রুশ কিংবা ওয়াগনার গ্রুপের দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য যোগ করা হয়নি।

তবে ওয়াগনার সংশ্লিষ্ট টেলিগ্রাম চ্যানেল গ্রে জোন জানায়, ওই উড়োজাহাজটি মস্কোর উত্তরে টাভার অঞ্চল অতিক্রম করায় সময় সেটিতে বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলি করেছিল।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্ঘটনার আগে দুটি বিকট আওয়াজ পান। সেখানে ধোঁয়া উড়তে দেখেন। মাটিতে বিধ্বস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উড়োজাহাজটিত আগুন ধরে যায়। এটি থেকে চার জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

গেল জুন মাসে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি ব্যর্থ বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন প্রিগোশিন। অনেকেই সেসময় ধারণা করেছিলেন, পুতিন হয়তো এর প্রতিশোধ নেবেন। তবে বেলারুশের মধ্যস্থতায় সেসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রিগোশিনসহ তার বাহিনীর সবাই বেলারুশে নির্বাসনে যান। শর্ত ছিল, প্রিগোশিন সেখানে (বেলারুশে) থাকলেই একমাত্র তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেবে না রাশিয়া।

২০২২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এই অভিযান শুরুর কয়েক মাস পর রুশ বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় রুশভিত্তিক বেসরকারি সামরিক কোম্পানি পিএমসি ওয়াগনার। ইউক্রেন ছাড়াও সিরিয়া, লিবিয়া, মালিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অর্থের বিনিময়ে সরকারি বাহিনীর সহযোগী হিসেবে যুদ্ধ করছেন ওয়াগনারের সেনাসদস্যরা।

রুশ কমান্ডের নেতৃত্বে রাশিয়ার সরকারি সেনাসদস্যদের সঙ্গে এতদিন বেশ ভালোভাবেই মিলেমিশে ইউক্রেনে যুদ্ধ করছিল পিএমসি ওয়াগনার। তবে গত কয়েক মাস ধরেই ভাসা ভাসা ভাবে ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে রুশ বাহিনীর সঙ্গে ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতের খবরও আসছিল।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort