আপনি এর আগে আসেন নি। আমরা ডাকলে আসবেন, তখন আমরা কাজ করে মজা পাবো। আরোও স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে কাজ করতে পারবো।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা মো. মঞ্জুরুল হাফিজ।
মেয়র ও এমপিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা এখানে কাজ করতে এসেছি। আমাদের কাছে আপনারা জনগনের প্রতিনিধি। আমরা আমাদের প্রত্যেকটি কাজের জন্য আপনাদের কাছে যাবো আর আপনাদের সাথে নিয়েই উন্নয়নের কাজ করবো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। জেলা প্রমাসনের আয়োজনে নগরীর ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানটি হয়।
খেলার অনুষ্ঠানে মো. মঞ্জরুল হাফিজ বলেছেন, খেলা হলো বন্ধন, খেলা মানে আনন্দ। খেলা মানে একটা গ্রুপের সাথে আরেকটা গ্রুপের সেতু বন্ধন। আমি খেলাটাকে এভাবে দেখি যে, কে কত মানুষের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরি করতে পারে। খেলা মানেই কিন্তু শৃঙ্খলা। আমারা আজকে ব্রাজিলকে চিনি এই খেলার মাধ্যমে। আমাদের দেশকে বিভিন্ন দেশ আজকে চিনে তার মধ্যে খেলা কিন্তু অন্যতম একটা মাধ্যম হতে পারে। আজকে যারা জিতলো তাদের কিন্তু দায়িত্ব বেড়ে গেলো। কারণ এরা জখন বিভাগে খেলতে যাবে, তখন কিন্তু কেউ বলবে না যে সিটি কর্পোরেশন জিতেছে বা সদর উপজেলা জিতেছে। সবাই বলবে নারায়ণগঞ্জ জেলা জিতেছে। এদের হাতেই আমরা একটি পতাকা তুলে দিবো নারায়ণগঞ্জ জেলার পক্ষ থেকে। যে আপনি নারায়ণগঞ্জের পক্ষে খেলছেন। সেই জন্যই আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে এবং জিতে আসতে হবে, ভালো খেলার মধ্য দিয়ে। আজকে যেমন পরিচ্ছন্ন খেলা হয়েছে, অনেক সুন্দর খেলা হয়েছে। তা হলেই নারায়ণগঞ্জের সুনাম বাড়বে। নারায়নগঞ্জ যেমন ভালো খেলে, ভালো নেতৃত্ব দেয়, উন্নয়নের সহেযোগী, সেই বিষয়গুলো কিন্তু সারা বংলাদেশকে জানাতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, আর মাত্র ২৫ দিন পরে আমাদের বাংলাদেশের অনেক বড় একটি অর্জন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য বিশাল একটি অর্জন। আপনারা জানেন যে কী ভাবে আমরা দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলো, সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর উন্নয়নের রোল মডেল। আজকের এই খেলার মাধ্যমেই বাচ্চারা যে খেলতে চাচ্ছিলো না, বই বিমুখ হয়ে যাচ্ছিলো, তারা যে মৌলোবাদের দিকে যাচ্ছিলো, নেশার দিকে যাচ্ছিলো, এই বয়সে বাচ্চারা যে জঙ্গিবাদের দিকে যাচ্ছিলো। তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। শরীরচর্চার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চাই, সুন্দর দেশ উপহার দিতে চাই।