দেওভোগে মেহেদী হাসান খুনের ঘটনায় আট জনের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের বড় বোন মৌসুমী বাদী হয়ে রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলায় অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা গ্রহণ করেন ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
মামলায় আসামী করা হয় ২০২১ সালে ১৭ জুলাই নিহত ইমনের দুই ভাই ওমর (২৭), সবুজ (৩০), একই এলাকার মজিবুরের পুত্র রাসেল @ ভাগিনা রাসেল (২১), মাইকেল (২১), সীমান্ত (২২), শান্ত @ কসাই শান্ত (২১), জুব্বা (২৩), সঞ্চয় (২১) সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে।
আসামীদের মধ্য সবুজ ইমন হত্যা মামলার বাদী।
মামলায় উল্লেখ্য করা হয়, নিহত মেহেদী হাসান পশ্চিম দেওভোগ মাদ্রাসার শেষ মাথা মিয়া পাড়ার একটি হোসিয়ারী কারখানায় কাজ করতেন। ৩০ জুলাই রাত দশটার দিকে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে রাকিবের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছানো মাত্র পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকারীরা মেহেদী হাসানকে মৃত রজব আলীর মাঠের গলিতে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে গিয়ে মেহেদী হাসানকে এলোপাথারী মারপিট করিয়া ও ধারালো ছোরা, চাকু দ্বারা উপর্যপুরি আঘাত করে বুকের ডান পাশে ছোট বড় ১৪ টি গভীর ক্ষত গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম করে। হত্যাকারীরা মেহেদীকে মৃত ভেবে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে মেহেদীর ডাক চিৎকারে বাদীসহ পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে উদ্ধার করে শহরের জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে সোহাগ নামক একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়বাসীন্দারা। মেহেদী হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ঘাতকদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে তিনি জানান।