দিল্লির বোলারদের ছাতু বানিয়ে রানের পাহাড় গড়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টস। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা লখনউ মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৯৫ রান তুলেছে। দিল্লির বেশিরভাগ বোলারই ওভারে ৯ এর বেশি রান দিয়েছেন। আগের ম্যাচে কলকাতার বিপক্ষে কিপটে বোলিং করে ৩ উইকেট নেওয়া মুস্তাফিজও এদিন ছিলেন বেশ খরুচে। ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে ৩৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।
অথচ ইনিংসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন মুস্তাফিজ। তার গুড লেংথে পড়ে হালকা ভেতরের দিকে আসতে থাকা বলটি কুইন্টন ডি ককের ব্যাটের ভেতরের অংশে লেগে স্টাম্পের পাশ ঘেঁষে চলে যায় সীমানার বাইরে। অল্পের জন্য উইকেট বঞ্চিত থেকে যান তিনি।
১৮ তম ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও প্রথম বলেই উইকেট পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মুস্তাফিজ, কিন্তু সেবারও ভাগ্য সহায় হয়নি। লখনউয়ের মার্কাস স্টয়নিস মুস্তাফিজের ফুল লেংথের বলটিকে শূন্য ভাসিয়ে সীমানা ছাড়া করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু টাইমিংয়ের গড়বড়ে সেটি ঠাঁই পেতে যাচ্ছিল কাউ কর্নারে থাকা ললিত যাদবের হাতে। সামনে ঝাঁপিয়ে পড়েও সেই ক্যাচ তালুতে জমাতে পারেননি ললিত।
লখনউয়ের ব্যাটাররা শুরু থেকেই দিল্লির বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন। ডি কক এবং লোকেশ রাহুলের উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২৬ বলে আসে ৪২ রান। এরপর ডি কক (২৩ রান) ফিরে গেলেও রাহুল তার সহজাত খেলা চালিয়ে যান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দীপক হুদাকে সাথে নিয়ে যোগ করেন আরও ৯৫ রান।
ফিফটি করে হুদা (৫২) শারদুল ঠাকুরের বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ১৯ তম ওভারে ঠাকুরের বলেই আউট হয়েছেন রাহুল, তবে তার আগে ৫১ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন তিনি। আর তাতে লখনউও বেশ বড়সড় এক লক্ষ্যই ছুড়ে দিয়েছে দিল্লিকে।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রানে দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে হারিয়েছে দিল্লি। তবে তৃতীয় উইকেটে মিচেল মার্শ ও অধিনায়ক ঋষভ পান্তের ৬০ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয় তারা। তবে ২০ বলে ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন মার্শ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান তুলেছে দিল্লি। ৭২ বল থেকে তাদের প্রয়োজন ১১৮ রান।