বিশ্বকাপ মিশন শেষে দুবাই থেকে সরাসরি বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখল পাকিস্তান দল।
টাইগারদের বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও দুটি টেস্ট খেলবে বাবর আজমের দল।
ছয় বছর পর বাংলাদেশ সফরে এসেছে দলটি। আর এসেই অনুশীলনে নিজ দেশের পতাকা উড়িয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন বাবর আজমের দল।
গত ১৫ নভেম্বর মিরপুর একাডেমি মাঠে নিজ দেশের পতাকা উড়িয়ে প্রথম দিনের মতো অনুশীলন করে সফরকারীরা।
সেই অনুশীলনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে চারিদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন ইস্যুতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া চলছে গত দুদিন ধরে। পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক চলছে। অনেকেই ক্ষোভ ঝেড়ে দলটির সঙ্গে না খেলার আবেদন জানিয়েছেন। অনেকে আর খেলার সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধকে না মেশাতে অনুরোধ করেছেন।
অবশেষে এই বির্তকের অবসান ঘটাতে পতাকা ওড়ানোর ব্যাখ্যা দিলেন পাকিস্তানর দলের মিডিয়া ম্যানেজার ইব্রাহিম বাদিস।
তিনি বলেন, ‘হেড কোচ সাকলায়েন মুশতাক ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে এই কৌশল চালু করেছেন। বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের প্রস্তুতিতে এটি প্রথম চালু করা হয়। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আমরা এটা অনুসরণ করেছি।’
জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েই নয়; সাকলায়েন মুশতাক পাকিস্তানের যুব দলগুলো বেলায়ও একই নিয়ম চালু করেছেন বলে জানান ইব্রাহিম বাদিস।
পাক দলের মিডিয়া ম্যানেজার আরও বলেন, ‘এর আগে সাকলায়েন মুশতাক যখন অনূর্ধ্ব-১৬ আর অনূর্ধ্ব-১৯ দলের দায়িত্বে ছিলেন একই কাজ করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া ন্যাশনাল হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের ক্যাম্পেও এমনটা করতে দেখা গেছে সাকলায়েনকে। এবার জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েও তিনি এটি অব্যাহত রেখেছেন।’
বিশ্বকাপে আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সূচি ছিল পাকিস্তানের। নিরাপত্তা শঙ্কায় এই সিরিজ পাকিস্তানে গিয়েই সিরিজ স্থগিত করে দেশে ফিরে যায় কিউইরা। এই সিরিজেই পাকিস্তান জাতীয় দলের হেড কোচের দায়িত্ব নেন সাকলায়েন মুশতাক। তিনি দায়িত্ব নিয়ে ক্রিকেটারদের মধ্যে দেশপ্রেম ছড়িয়ে দিতে অনুশীলনে জাতীয় পতাকা রাখেন।