নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে নারী কেলেংকারির ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলায় আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মশিয়ার রহমানের আদালতে মামলাটির চার্জশীটভুক্ত দুই স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এই মামলায় আদালতে এ পর্যন্ত তেরোজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও অন্তত ত্রিশজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ নিশেষ ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট রকিব উদ্দিন আহমেদ জানান, সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামি মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। পরে স্বাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম শুরুর আগে দুপুর ১২ তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর একে একে স্বাক্ষ্য দেন সোনারগাঁ থানায় কর্মরত তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক তবিদুর রহমান ও উপ-সহকারি পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম উজ্জ্বল। স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালতের নির্দেশে মামুনুল হককে পুনরায় কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
আগামি ৩০ অক্টোবর পরবর্তী স্বাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় রয়েল রিসোর্টে এক নারীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই নারী ৩০ এপ্রিল মামুনুল হককে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।