হলিউড অভিনেত্রী আমান্ডা বাইন্স বর্তমানে মানসিক রোগে আক্রান্ত। জানা গিয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় নগ্ন অবস্থায় ঘুরছিলেন তিনি। এরপরেই তাঁকে মানসিক হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে। টিএমজেড-এর মতে, ‘শি ইজ দ্য ম্যান’ তারকা আমান্ডা প্রায় ৯ বছর ধরে নজরদারিতে ছিলেন, গতবছরই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি মানসিক রোগীতে পরিণত হন। গত ১৯ মার্চ তাঁকে দেখা যায়, কোনও পোশাক ছাড়া, একেবারে নগ্ন অবস্থায় একটি গাড়ির সামনে পতাকা দেখিয়ে থামাতে। আর সেই গাড়ি থামতেই অভিনেত্রী ড্রাইভারকে বলেন যে, তিনি সবেমাত্র মানসিক রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন। তারপরে তিনি নিজেই ৯১১ নম্বরে কল করেন এবং তাঁকে নিকটবর্তী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থানা থেকেই অভিনেত্রীকে মানসিক হাসপাতালে পাঠানো হয়। শুধু তাই নয়, অভিনেত্রী এতটাই মানসিকভাবে অসুস্থ যে, একবার তিনি তাঁর প্রতিবেশীর ড্রাইভওয়েতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর কুকুরকে আগুনে ফেলে দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে যথাযথ চিকিৎসার জন্য মানসিক ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। গত বছর, বাইন্স কনজারভেটরশিপ শেষ করার জন্য আবেদন করেছিলেন এবং এই প্রচেষ্টায় তাঁর বাবা-মা, লিন এবং রিক বাইন্স তাঁকে সমর্থন করে ছিলেন। তবে অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক ঘটনায় একেবারে উলটপালট হয়ে গেল সবকিছু। বিশেষজ্ঞরা জানায় মিসেস বাইন্সের বাইপোলার ডিসঅর্ডার রয়েছে। তাঁর এখনও সম্পূর্ণ চিকিৎসার প্রয়োজন। থানায় নিয়ে যাওয়া হলে যেখানে একটি মানসিক স্বাস্থ্য দল তাঁকে ৫১৫০ সাইক হোল্ডে রেখেছিল। এই মনস্তাত্ত্বিক হোল্ড শুধুমাত্র ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হয়, তবে, এটি রোগীর প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে বাড়ানো যেতে পারে। আমান্ডা বাইন্স ১৯৯০ এবং ২০০০ এর দশকে টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। তিনি ইজি এ, ‘শি ইজ দ্য ম্যান’ এবং ‘হোয়াট এ গার্ল ওয়ান্টস’ এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পেজসিক্স জানায়, মানসিক অসুস্থতা এবং মাদক ব্যবহারের জন্যে ২০১৩ সালে তাঁকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। তিনি গত বছর মুক্তি পান। বাইন্স ২০২২ সালের বিবৃতিতে বলেছিলেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরে, আমি আমার স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি যাতে আমি স্বাধীনভাবে বাঁচতে এবং কাজ করতে পারি। বাইন্স আরও বলেন, তিনি মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন। গাঁজার মিশ্রণ, মদ্যপান তাঁর মস্তিষ্ককে একেবারে এলোমেলো করে দেয়।