মাদারীপুর-শরীয়তপুর মহাসড়কের মাদারীপুর জেলা শহরের পুরান কোর্ট মোড়ের জিরো পয়েন্ট এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ কারণে এখানে গোলচত্বর নির্মাণের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। শহরের ব্যস্ততম এ মহাসড়কে দূরপাল্লারসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এই মোডের চার দিকে চারটি রাস্তা গেছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলেছেন, এই চার রাস্তা মোড়ে গোলচত্বর নির্মাণ করা গেলে এটি নিরাপদ হবে। এছাড়া চত্বরের পাশে প্রতিটি রাস্তার মাথায় গতিরোধক নির্মাণ করা গেলে দুর্ঘটনা কমবে।
সাবেক উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোমায়রা লতিফ পান্না বলেন, ‘পুরান কোর্ট মোড়ে অবশ্যই গোলচত্বর হওয়া উচিত। এখান দিয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে, গাড়িতে যাচ্ছে, এটি একটি লোকালয়, প্রায়ই যানজট থাকে। এখানে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা হতে পারে। এখানে গোলচত্বর হলে আমরা বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা পাব।’
মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ পারভেজ বলেন, এটি জনবহুল রাস্তা। বিশেষ করে পদ্মা সেতু হওয়ার পর এই সড়কে যান চালাচল অত্যাধিক বেড়ে গেছে। কিছু দিন আগে দুর্ঘটনা ঘটেছে। অতি দ্রুত এখানে গোলচত্বর নির্মাণ হওয়া দরকার।
মাদারীপুর লিগ্যাল এইড অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া বলেন, এখানে গোলচত্বরের মাধ্যমে নিরাপদ জোন করা দরকার। এখানে ৪টি রাস্তার মোড় রয়েছে। গাড়িগুলো নিয়ন্ত্রণহীনভাবে মোড় ঘোরে। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি অনেক বেশি। গোলচত্বর না থাকায় যে যার মতো করে চলাচল করছে। গোলচত্বরের মাধ্যমে যান চলাচলে শৃঙ্খলা আনা দরকার।
মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পরিকল্পনা ছিল এই সড়ক আছমত আলী খান সেতু পর্যন্ত চার লেন হবে। সড়কটি শকুনী লেক পর্যন্ত হওয়ার পর করা সম্ভব হয়নি। দুই লেনে ট্রাফিক চলে যাবে এবং দুই লেনে সার্ভিস লেন হবে।
গোলচত্বরের বিষয়ে তিনি বলেন, মোড়টি হচ্ছে একটি সিকুইন বা এস কার্ট। এজন্য মোড়ের দুই পাশে কিছু স্থাপনা ভাঙতে হবে। মাদারীপুরে যারা স্টেক হোল্ডার আছে, সকলের সহযোগিতা দরকার। সড়কটি চার লেন করলে আর গোলচত্বর করার প্রয়োজন হবে না। এ জন্য দরকার ফিজিক্যাল এসেসমেন্ট এবং ডিজাইন ও গাইড লাইন।