নারায়ণগঞ্জের সদর থানাধীন প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় মাদক বিক্রয়ে বাধা দেওয়ায় খন্দকার সাঈদ আহমেদ (৪১) ও খন্দকার সালেক আহমেদ সানি (৩৫) কে অতর্কিত হামলা করে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
৮ মার্চ (শনিবার) নগরীর প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় খন্দকার সাঈদ আহমেদের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
খন্দকার সালেক আহমেদ সানি জানান, পায়েল ও আরাফাত সহ অজ্ঞাত আরো ৮ থেকে ১০ জন সব সময় আমাদের বাড়ির সামনে এসে মাদক ব্যবসা ও সেবন করতো। আমি ও আমার বড় ভাই তাদেরকে এখানে মাদক ব্যবসা ও সেবন করতে না বলায় তারা আমাদের সাথে উশৃংখল আচরণ ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিতে থাকে।
আমার বড় ভাই তাদের গালিগালাজের প্রতিবাদ করলেন পায়েল ও আরাফাত সহ অজ্ঞত আরো ৮ থেকে ১০ জন মিলে আমার ভাইকে এলোপাথাড়ি কিল, গুসি, লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক যখন করে। পরবর্তীতে আমার ভাই চিৎকার করলে আমি ছুটে আসায় আমাকেও বেধড়ক মারদোর শুরু করে। এবং ইট দিয়ে আমাদের দুই ভাইকে মেরে ফেলার জন্য তেরে আসে।
এ সময় এলাকার স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে আমরা প্রাণে রক্ষা পাই। তখন স্থানীয় লোকদের সামনেই মাদক ব্যবসায়ীরা আমাদের প্রাণে মেরে ফেলা সহ আরো বড় ধরনের ক্ষতি করার হুমকি দুমকি দিয়ে চলে যায়।
পরবর্তীতে আমরা এলাকাবাসীর সাহায্যে কানপুর ৩০০সুদ্ধি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। চিকিৎসাধীন সময় আমার মাথায় তিনটি শিলি ও বউয়ের মাথায় পাঁচটি শিলি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে আমি সদর থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমার দাবি প্রশাসন প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী পায়েল আরাফাত সহ তাদের দলের অন্যান্য সদস্যদের আটক করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক।
এলাকাবাসী জানায়, তারা ৮-১০ জন সম্মলিত ভাবে এলাকায় অবৈধ মারাত্মক নেশা দ্রব্য বিক্রি ও সেবন করে। তারা একসাথে অনেকে থাকার কারণে তাদেরকে কিছু বলা যায় না। আর যদি কেউ কখনো কিছু বলে তাহলে বিভিন্ন রকমের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি প্রশাসন যেন এই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আই নানক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।