নিজস্ব প্রতিবেদক : মর্গান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও জোর করে পদত্যাগ করানো সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারকে সরানোর পিছনে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়েছেন এমন একটি অভিযোগপত্র জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছেন তিনি।
সহকারী প্রধান শিক্ষক লায়লা আক্তারের অভিযোগে জানা যায় যে, সহকারি শিক্ষক মোহাম্মদ মেহেদী হাসান তার দুর্নীতি অনিয়ম এবং প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোর কারণে সে তার কোচিং এর শিক্ষার্থীদেরকে উসকে দেয়। তাছাড়াও লায়লা আক্তারকে পদত্যাগ করানোর জন্য আন্দোলন করে। দীর্ঘ ১৫ বছর তিনি এবং তার স্ত্রীর সহকারী শিক্ষক নিলা আক্তার ব্যবসার শিক্ষা-শাখার সকল প্রশ্ন প্রণয়ন করেন এবং খাতা দেখেন। প্রশ্ন ফাঁস করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছেন। লায়লা আক্তার যোগদান করার পরে সকল শিক্ষকের প্রশ্ন নিয়ে সমন্বয় করে প্রণয়ণ করেছে। এতে মেহেদী হাসানের কোচিং ব্যবসায় ধস নামে। ২০২৪ সালের টেস্ট পরীক্ষায়ও তিনি এবং তার স্ত্রী হিসাব বিজ্ঞান এবং ফিন্যান্সের প্রশ্ন ফাঁস করে দেয়। যার যথেষ্ট প্রমাণাদি রয়েছে।
আর এসব কারণে মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। যাতে ভবিষ্যতে কোন শিক্ষক এরকম গর্হিত কাজ না করতে পারে এজন্য ব্যবস্থা নিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাশফুকুর রহমানের কাছে অভিযোগপত্রটি জমা দেন।