রূপগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচীর খবরে কাঞ্চন পৌর এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ও পৌরসভা এলাকায় মহড়া দিয়ে ভীতি সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এসময় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুর ও তালা মেরে বন্ধ করে দেয়াসহ নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করা হয়।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে দফায় দফায় এ হামলা চালানো হয় বলে জানান জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবি।
তিনি জানান, আমাদের কেন্দ্র ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ কাঞ্চন পৌরসভা এলাকায় আজ কর্মসূচী ছিল। আমরা এ কর্মসূচীর ব্যাপারে প্রশাসনকেও অবহিত করেছি। আমাদের কর্মসূচী হবার কথা বিকেল ৩ টায় অথচ সকাল থেকেই কর্মসূচীতে বাধভাঙ্গা মানুষের ঢল রুখতে ও কর্মসূচী বানচাল করতে রূপগঞ্জের স্থানীয় আওয়ামীলীগ যুবলীগ, ছাত্রলীগ, রূপগঞ্জে আওয়ামীলীগের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার ছেলে পাপ্পা গাজীর নির্দেশে তাদের পেটোয়া বাহিনী নিয়ে এ হামলা চালায় ও মহড়া অব্যাহত রেখেছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হামলা ও ভীতি সৃষ্টি করছে তারা।
তিনি জানান, হামলা চালিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের কাঞ্চন পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক মজিবুর চেয়ারম্যানের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে তারা। হামলা চালানো হয়েছে বিএনপি নেতা ও পৌরসভার সাবেক মেয়র বাদশার বাড়িতে। আমাদের পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও পৌরসভা যুবদলের সভাপতি মফিকুল খানের কাউন্সিলর কার্যালয়ে ভাংচুর চালায় তারা। পৌরসভা যুবদলের সদস্য সচিব কহিনুরের স্যানিটারি দোকানে হামলা চালিয়ে সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কাঞ্চন পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সোহেল মিয়ার জুতার দোকানসহ দুটি দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করে দেয় হামলাকারীরা। হামলায় আমাদের অন্তত ৩ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সকাল থেকে এভাবে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ভয়ভীতি তৈরী করে রেখেছে তারা। আমরা ইতোমধ্যে প্রশাসনকে অবহিত করেছি এখনো তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি। সেখানে আমাদের নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশকে ঘিরে অস্থিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা চলছে।