বন্দর প্রতিনিধি: বন্দরে হাসান নামে এক ব্যাক্তির মালিকানা জমিতে কাজ করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শামীম ওসমানের সহযোগী স্থানীয় এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। ওই যুবলীগ নেতার নাম কাজী জহির, তিনি বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে হাফেজ আনিছ হত্যা মামলা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সাড়ে ১১ টায় বন্দর থানাধীন লেজার্স আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় ২ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও ১০/১২জনকে অজ্ঞাতনামা করে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী হাসান।
অভিযুক্তরা হলেন, বন্দর নাসিক ২২নং ওয়ার্ডের উইলসন রোড এলাকা মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক এর ছেলে কাজী জহির, একই এলাকায় মৃত সাকু মিয়ার ছেলে অপু।
জমির মালিক হাসান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, গেলো বছরের ৩ নভেম্বর নাজির হোসেন নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে বন্দর থানাধীন গঙ্গাকুল ম খন্ড স্থিত এসএ দাগ নং-০৭, আরএস দাগ নং-০৩ এ দাগে ৩ শতাংশ ২৫ পয়েন্ট সম্পত্তি বায়নাসূত্রে মালিক হন। এবং জমির মালিক নাজির হোসেন সম্পত্তি বুঝিয়ে দেন।
পরবর্তী সময়ে ৩ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে লেজার্স আবাসিক এলাকায় জমি পরিস্কার করতে গেলে যুবলীগ নেতা কাজী জহিরের নেতৃত্বে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, ছুরি, চাকু, রামদা নিয়ে কাজ করতে বাধা প্রদান করেন। একই সঙ্গে কাজ বন্ধ না করলে কুপিয়ে হত্যা করার হুমকি প্রদান করেন। মূলত: যুবলীগ নেতা কাজী জহির জোরপূর্বক ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল করার পাঁয়তারা করছে।
স্থানীয়রা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চাষাঢ়া, ডিআইটি এলাকায় শামীম ওসমানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার উপর গুলি ছোঁড়া হয়। ওই সময়ে যুবলীগ নেতা কাজী জহিরের নেতৃত্বে বন্দর থেকে শতশত দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে যোগদেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সহ বন্দরের বহু নেতাকর্মী পালিয়ে গেলেও এলাকায় এখনও প্রভাব খাটিয়ে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছো তিনি। একই সঙ্গে এলাকায় জোরপূর্বক জায়গা দখল সহ ইট, বালুর ব্যবসা করে আসছে। তার ভয়ে এখনও এলাকার মানুষ মূখ খুলতে ভয় পায়।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বন্দর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জহিরের ব্যবহৃত এই ০১৭২*****৯৬ একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।