নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন হিরাঝিল আবাসিক এলাকা থেকে গত ১ মাস পূর্বে অপহৃত কিশোরী মাহিমাকে (১৩) রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানাধীন চর আফরা নামক প্রত্যন্ত চরাঞ্চল থেকে উদ্ধার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। এসময় অপহরনকারী দুই আসামী সোহান (২২) ও রাসেলকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার দিনভর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) ইয়াউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত কিশোরী মাহিমাকে উদ্ধার সহ আসামীদের গ্রেফতার করেন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি হীরাঝিল এলাকা থেকে মাহিমাকে অপহরণ করা হয়। আসামি সোহান তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে মাহিমার পরিবারে সাথে যোগাযোগ করে নানা তালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তীতে তার ফোন বন্ধ পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবা মো. শাহ কামাল ৪ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি নারী শিশু নির্যাতন দমন ও অপহরণ মামলা (নং-১০) দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলো- রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন চর আফরা গ্রামের মো. সুজন মানিক, তার ছেলে মো. সোহান (২২), মেয়ে মোসাঃ তানিয়া (২৫) এবং মেয়ের জামাই মো. রাসেল (৩৬) সহ অজ্ঞাত ২/৩ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদি মো. শাহ কামাল তার সন্তানদের নিয়ে হীরাঝিল এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করেন। তার মেয়ে মহিমা সোনারগাঁ থানাদীন পঞ্চমী ঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। আসামি সোহান ফেসবুক ও মোবাইল ফোনে তার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। একপর্যায়ে সে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বাদির মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। তার মেয়ে প্রস্তাবে রাজী না হলে সে মাহিমাকে অপহরণ করে যে কোন সময় উঠিয়ে নিয়ে বিবাহ করবে বলে ভয়ভীতি সহ হুমকি দিয়ে আসছিল। মাহিমা স্কুলের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হলে বাসার সামনে রাস্তায় অবস্থানকালে উপরোক্ত আসামীরা জোরপূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াউর রহমান জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে সোহান ও রাসেলকে গ্রেফতার সহ ভিকটিম মাহিমাকে উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।