যৌতুকের জন্য পুত্রবধুকে বিষ খাইয়ে হত্যার ঘটনায়, রূপগঞ্জে নারী ও শিশু নিযার্তন আইনের মামলায় মো. আমজাদ প্রধান নামের এক ব্যক্তিকে ১ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুননাহার ইয়াসমিনের আদালত এ আদেশ দেন।
রিমান্ডের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে পুলিশ আসামী আমজাদের বিরুদ্ধে আদালতে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে।
কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নারী ও শিশু নিযার্তন আইনের মামলায় আমজাদ নামের এক ব্যক্তিকে ১ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত। বর্তমানে আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে আসাদুজ্জামান জানান, গত তিন বছর পূর্বে আসামী আমজাদের ছেলে শফিকুল প্রধানের সাথে বাদীর মেয়ের ইসলামিক শরিয়াত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের কিছুদিন পর বাদীর মেয়ে অন্ত:স্বত্তা হয়। বাদীর মেয়ে অন্ত:স্বত্তা হওয়ার পর রিমান্ডকৃত আসামীসহ পলাতক আসামীদের পরামর্শে শফিকুল বাদীর মেয়ের কাছে তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। বাদীর মেয়ে যৌতুক দিতে অপরাগত প্রকাশ করায় রিমান্ডকৃত আসামীসহ পলাতক আসামীদের ইন্ধনে বাদীর মেয়েকে শারীরীক ও মানসীক নির্যাতন করে। বাদী মেয়ের কথা চিন্তা করে আসামীকে যৌতুক প্রদান করে। আসামী যৌতুকের টাকা পাওয়ার পর নেশা খেয়ে তা শেষ করে ফেলে। পুনরায় বাদীর কাছে আবার যৌতুক চাওয়ার জন্য বাদীর মেয়েকে নির্যাতন করা শুরু করে।
তিনি আরও জানান, এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ এপ্রিল রিমান্ডকৃত আসামীসহ পলাতক আসামীরা বাদীর মেয়েকে যৌতুক নেওয়ার জন্য বাসায় কথা বলতে বলে। বাদীর মেয়ে জানাবে না বলে বাদীর মেয়েকে এলাপাথাড়ি মেড়ে জখম করে। একপর্যায়ে বাদীর মেয়েকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আসামীরা কীটনাশক বীষ খাওয়ায়। পরে আশেপাশের লোকজন স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে সেখানকার কত্যর্বরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা করবে বলে ঢাকার মুগদা হাসপতালে পাঠিয়ে দেয়। অনেকদিন চিকিৎসা থাকার পর গত ১৫ মে বাদীর মেয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।