শুক্রবার মাঠে গড়াবে ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আর কয়েকঘণ্টা বাকি থাকলেও এবারের আসর নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমী দর্শকদের মধ্যে কোনও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। আগের দিন সাকিব আল হাসান বিপিএল নিয়ে বিস্তর সমালোচনা করেছেন। বৃহস্পতিবার সাকিবরে সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন মাশরাফি। সঙ্গে এও বলেছেন, বিপিএলের পরিবেশ র্যাংকিংয়ে থাকার মতো নয়।
মাঠের লড়াই শুরুর আগে বৃহস্পতিবার শেষ দিনের মতো অনুশীলন করেছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দলের বাইরে বিপিএল নিয়েই বেশি কথা বলেছেন দলটির অধিনায়ক। বিপিএলের অষ্টম আসর শুরুর আগে বিপিএলকে ৪-৫ নম্বর র্যাংকিং দিয়েছিলেন সাকিব।
এবার মাশরাফির কাছে র্যাংকিং জানতে চাইলে মাশরাফির সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘এক মাঠে ৬-৭ দল অনুশীলন করছে। রংপুর যেমন তাদের নিজ দায়িত্বে নিজেদের মাঠে অনুশীলন করছে। এ বিষয়গুলো কিন্তু ম্যাটার করে। সঠিক পন্থায় করতে হবে। খালি চোখে যে কেউ এসে দেখবেন যে, একই মাঠে সবকিছু হচ্ছে, অনুশীলন হচ্ছে। এটা হ–য–ব–র–ল ব্যাপার বলতে পারেন।’
বিপিএল শুরুর আগে নানা অব্যবস্থাপনা ফুটে উঠলেও মাশরাফির প্রত্যাশা মাঠের লড়াই শুরুর পর জমজমাট হয়ে উঠবে বিপিএল, একটা টুর্নামেন্টের সৌন্দর্য আছে, শুরুর দিকে একটা হাইপ তোলার ব্যাপার আছে, এ জিনিসটা হয়তো আমরা শুরু থেকেই পারিনি, এটা সত্য। তবে প্রত্যেকবারই খেলা শুরু হওয়ার পর তো খেলাটা ভালোই হয়। প্রতিযোগিতা থাকে। সবাই সবার দল নিয়েই ব্যস্ত থাকে। আশা করি, প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলকই হবে।
ক্রিকেটকে পুঁজি করতে না পারাকে সাংগঠনিক ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন সাকিব। একদিন আগে এমন মন্তব্যই করেছিলেন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। মাশরাফির অবশ্য সাকিবের এই কথার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে, ‘মার্কেট ভ্যালু কতটুকু, আপনার দলের কাছে স্পন্সরশিপ কতটুকু আসতে চাচ্ছে, এগুলো তো দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। একটা দল যখন জানে যে, আমি এই দলটার মালিক, আমি পরবর্তী ১০ বছর কিংবা ৭ বছর এটার মালিক। তখন সে দুই বছর লস করতে পারে। ঠিক আছে, আমি আমার দলকে নিয়ে কাজ করবো, মার্কেটে প্রমোট করবো, তখন কিন্তু তার প্রফিটে সে চলে যাবে। এটা তো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের জন্য ব্যবসা। বিজনেসে যদি আপনি প্রফিট না করেন, লস হয়ে গেলে তো সমস্যা। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এজন্য দীর্ঘ সময় স্থায়ী হতে পারছে না। তবে যদি এটি প্রোপার অর্গনাইজ করে করা হয়, যেটা সাকিব বলেছে, আমার কাছেও মনে হয়, অন্তত ৭, ৫ বা ১০ বছর যেটার যে মালিক, তাদের সঙ্গে টিম করা। নির্দিষ্ট তারিখে করা। তখন কিন্তু অনেক কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব।’
মাশরাফি আরও বলেছেন, এগুলো যদি পরিবর্তন করে, তাহলে তো পরিবর্তন হবেই। পরিবর্তন না হওয়ার তো কারণ নেই। এমনও না যে, আমাদের মাঠ নেই। ফতুল্লা পড়ে আছে, আরও কিছু মাঠ পড়ে আছে। বাইরেও আছে। এগুলো যদি একটু অর্গনাইজ করা যায় খারাপ হয় না।’
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে সমস্যা দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন মাশরাফি, ‘এত কিছু সাকিব বলেছে, আমিও কিছু না কিছু বললাম। ৩ বছরে জন্য দলগুলো দিয়েছে। এটা ভালো দিক হয়েছে। দলগুলো এখন ক্লিয়ার, দলগুলোকে সমর্থন করতে হবে।