নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলছেন, বিএনপি এখন দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে গেছে। একটি আম্মা গ্রæপ, অপরটি ভাইয়া গ্রুপ। ভাইয়া গ্রুপ ২০২৪ এর নির্বাচন নয় বরং ২০২৮ এর নির্বাচন নিয়ে চিন্তা করছে। যে লোক তার মায়ের কথা চিন্তা করে না, সে কি দেশের চিন্তা করবে?
রোবববার (২৭ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসবে না, ক্ষমতার কাছেও আসতে পারবে না। তিনি বিএনপি’র স্থানীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আপনাদের লন্ডনের নেতার কথায় মাঠে লাফাচ্ছেন, লাফান। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিএনপি তাওয়া গরম করতে পারবে, কিন্তু তাওয়ার উপর খেলবে অন্য মানুষ। যারা কখনও নির্বাচনে পাশ করতে পারবে না। তারা চেষ্টা করছে ভিন্ন পথে ক্ষমতায় আসার।
তিনি বলেন, জাতির পিতার কন্যাকে ও দেশকে বাঁচাতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে মাঠ নামতে হবে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা শৈশব কৈশর হারিয়েছি। শেখ হাসিনাকে হারাতে চাই না। শেখ হাসিনাকে হারালে বাংলাদেশ পথ হারাবে। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামীলীগের সম্পদ না, শেখ হাসিনা আপনার আমার সন্তানের আগামীদিনের ভবিষ্যত। তাই শেখ হাসিনার জন্য আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই।
আগামী ৩-৪ মাসে দেশকে ধংস করার চেষ্টা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের লড়াইটা করেছি। এবার তরুণ প্রজন্মকে তাদের লড়াইটা করতে হবে দেশের স্বার্থে। নতুন এই খেলায় দেশের যে ক’টা জেলাকে টার্গেট করা হয়েছে তারমধ্যে শকুনের দল নারায়ণগঞ্জকেও টার্গেট করেছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি। তারা ২১ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছে। বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনের নামে বিগত দিনে ৩ হাজার ৫৫২টি গাড়ি পুঁড়িয়েছে, ২৯টি ট্রেনে আগুন দিয়েছে, ৯টি লঞ্চ, ৫৮২টি স্কুল, ৬টি ভূমি অফিস এবং ৭০টি সরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করেছে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সার পর্যন্ত তারা আন্দোলনের নামে দেশের ৩ হাজার ৩৬ জন সাধারণ মানুষের গায়ে আগুন দিয়েছে। যার মধ্যে ৫০০ জন মারা গেছে।
তিনি বলেন, এই নারায়ণগঞ্জেই বিএনপির আমলেই বিএনপি নেতার ভাই খুনীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। বিএনপি নেতা তৈমূর আলমের ছোট ভাই ব্যবসায়ি সাব্বির আলমকে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন।
দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান চন্দন শীল বলেন, আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যে আমরা আমাদের দায়িত্ব লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে পালত করতে পারি। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করার ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা, জেলা পরিষদের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যানবৃন্দ, জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যগণ।