সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

বাবুরাইলে ১১ মাসের শিশু কেঁড়ে গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, নারীসহ গ্রেপ্তার ৩

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ৩.৫৪ এএম
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

শহরের বাবুরাইল এলাকায় টাকা ধার দেয়ার কথা বলে এক গৃহবধুকে ৩ ঘন্টা আটকে রেখে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টবর) অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী।

পরে ওই দিন রাতে এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি টিম।
এর আগে ২৩ অক্টোবর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন বাবুরাইল বৌবাজার নয়াপাড়া এলাকার মজিবর রহমানের বাড়ীর ভাড়াটিয়া সেলিনার ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধু।

মামলার আসামীরা হলো, নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার আমিন ২য় গলি এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (৩৪), বৌবাজার নয়াপাড়া এলাকার মৃত কবির হোসেনের মেয়ে সেলিনা (৩৫), সিরাজুল হকের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৫৫), মেহেদী (৩০) ও সৌরভ (৩০)। এর মধ্যে প্রধান আসামী সোহেল রানা, ২নং আসামী সেলিনা ও ৩নং আসামী মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলা ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর খোকন চন্দ্র সরকার জানান, গত ২৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী নারীকে টাকা ধার দেয়ার কথা বলে কৌশলে সেলিনার ভাড়া বাসায় নিয়ে যায় সোহেল রানা। তার সহযোগিতায় ৪জন মিলে ওই নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। ২৫ অক্টোবর ওই নারীর স্বামী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামী সোহেল রানা সহ মোট ৩জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী ২ সন্তানের জননী। তার সাথে প্রধান আসামী সোহেল রানার পরিচয় ছিলো। গত ২৩ অক্টোবর ওই নারী সোহেল রানার কাছে ১ হাজার টাকা ধার চায়। সোহেল টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা নিতে ওই নারীকে শহরের ডিআইটি মোড় এলাকায় আসতে বলে। ওই নারী তার ১১ মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে ডিআইটি মোড় এলাকায় আসার পর সোহেল তাকে বলে যে, তার সাথে এখন টাকা নেই। টাকা নেয়ার জন্য বাসায় যেতে হবে। পরে দুপুর ১২টার দিকে সোহেল ওই নারীকে নিয়ে শহরের বাবুরাইল বৌবাজার নয়াপাড়া এলাকার জনৈক মজিবর রহমানের বাড়ির ৩য় তলার একটি ফ্লাটে নিয়ে যায়। ওই ফ্লাটে ২নং আসামী সেলিনার বাসা। এসময় সেলিনা ওই নারীর সাথে থাকা ১১ মাসের শিশু সন্তানকে জোর করে কেড়ে নেয় এবং প্রধান আসামী সোহেল ওই নারীকে সেখানে ধর্ষণ করে।

ভুক্তভোগী নারীর বরাত দিয়ে এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২নং আসামী সেলিনা অন্যান্য আসামী মোহাম্মদ আলী, মেহেদী ও সৌরভকে ফোন করে তার ফ্ল্যাটে নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে তারা সেলিনার সহায়তায় ওই নারীকে পালাক্রমে সংঘবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতন করে।
বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা ওই নারীকে আটকে রেখে পাশবিক নির্যাতনের পর তাকে সহ শিশু সন্তানকেও হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মুক্তি দেয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2021 rudrabarta24.net
Theme Developed BY ThemesBazar.Com

sakarya bayan escort escort adapazarı Eskişehir escort