বন্দরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ড্রেজিং করার সময় স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ৫টি ড্রেজারে ও ৩টি ড্রাম ট্রাকে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালিয়েছে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে ড্রেজার শ্রমিক ও ড্রাম ট্রাক চালকসহ কমপক্ষে ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলো ড্রেজার শ্রমিক শাহিন (২৮) নাদিম (৩৭) নাঈম (২৮) ইউসুফ (৩০)। এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর থানার ১৯নং ওয়ার্ডস্থ মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকায় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে মদনগঞ্জ ফাঁড়ী পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এলাকাবাসী জানায়, নদী খননকারিরা খেলার মাঠসহ ফসলি জমি কেটে ফেলছে। আমরা তাদেরকে বাধা প্রদান করেছি। ড্রেজারে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ড্রেজার ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া বাদী হয়ে হামলাকারিদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া জানান, টেন্ডারের মাধ্যমে বিআইডব্লিউটিএ কাছ থেকে শীতলক্ষ্যা নদী ড্রেজিং এর কাজ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আমি নদী খনন কাজ করে আসছি। নদী খননের কাজ শান্তিনগর এলাকায় আসলে ওই এলাকার চিহিৃত ভুমিদৎস্যু সেলিম ও তার ছেলে সোহাগসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জন আমার কাছ থেকে টাকা দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা না পেয়ে ভুমিদস্যু সেলিমের র্নিদেশে তার ছেলে সোহাগ, একই এলাকার মৃত মধু মিয়ার ছেলে দিপু, মৃত রফিক মুন্সির ছেলে আলামিন, একই এলাকার সিফাত ও ইব্রাহিমসহ অজ্ঞাত নামা ৪০/৫০ জন দুঃস্কুতিকারি লাঠী সোটা ও লোহার পাইপ ও লোহার রডসহ ধারালো অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মায়ের দোয়া, সামিয়া জুবায়ের, নবীজির দোয়া, বাইতুল মোকাদ্দেস ও সামিয়া টু নামে ৫টি ড্রেজারে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে অগ্নিসংযোগ করে নগদ ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ছাড়াও হামলাকারিরা ঢাকা মেট্রো ট ২৪-৪৫২৬ ও ঢাকা মেট্রো ড ১২-৩৯৭৯সহ তিনটি ড্রাম ট্রাক ব্যাপক ভাংচুর করে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে ড্রেজার শ্রমিক ও ট্রাক চালকসহ কমপক্ষে ৫ জন গুরুত্বর আহত হয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনর্চাজ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, ড্রেজার হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় মদনগঞ্জ শান্তিনগর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।