বন্দরে ২১নং ওয়ার্ডস্থ শাহীমসজিদ এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা সক্রীয়। এদের মধ্যে চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী দুই ভাই টেটনা হাবু ও অলির অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী। কেউ বাঁধা দিলেই তার উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। এমনকি তাদের হামলা মামলা দিয়েও হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদের নামে বন্দর থানা ও ডিবিতে গনধর্ষণ, মারামারিসহ একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এরা একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও টাকার জোরে জামিনে এসে পূনরায় এলাকায় তাদের মাদক ব্যবসা প্রকাশ্যেই করে থাকেন।
তথ্যমতে জানা গেছে, বন্দরে ২১নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদ এলাকায় মৃত জজ মিয়ার ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান ওরফে টেটনা হাবু ও তার ভাই অলি ওরফে গাজাঁ অলি শাহীমসজিদ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
এদের ব্যবসার কারনে এলাকায় মাদক সেবীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বন্দর শাহীমসজিদ পল্লীবিদ্যুতের পাশে আছানউল্যাহর কেরামবোর্ডের দোকানে বসে হাবু ও অলি দুই ভাই দিলে প্রতিদিন প্রকাশেই মাদক ব্যবসা করছে।
রাত-দিন ২৪ ঘন্টা মাদকসেবীরা এই এলাকায় ঘুরাফেরা করে। মাদকসেবীদের বেপোয়ারা চলাচলের কারণে এলাকাবাসী আতঙ্কে থাকেন সব সময়। সম্প্রতি কয়েকজন যুবক মাদকসেবীদের বাধা নিষেধ করলে এতে ওরা ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা ভয় দেখিয়ে হুমকি ধামকিও দিয়েছে বলে জানাগেছে। এরা মাদকের ব্যবসা করেই এলাকায় প্রতিষ্ঠিত।
কেউ ভয়ে এদের বিরোদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পায়না। এরা স্থানীয় ভাবে খুবই শক্তিশালী। ৬মাস পূর্বে মাদক ব্যবসায়ী হাবুর নিজ বাড়িতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তার স্ত্রী আসমাকে গ্রেফতার করেছে।
৩ বছর পূর্বে ব্যবসায়ী হাবু শাহীমসজিদ এলাকায় এক হিন্দু নারীকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে কল্যান্দি এলাকায় এক বাড়ির ছাদে পালাক্রমে গনধর্ষণ করে। পরে সে ওই মামলায় কারাভোগও খাটেন। হাবুর ছোট ভাই মাদক ব্যবসায়ী অলি ওরফে গাজাঁ অলির নামে বন্দর থানায় প্রায় ডজনখানেক মাদক মামলা রয়েছে।
বছরে ৩/৪ মাস সে জেলেই থাকেন। জামিনে বের হয়ে পূণরায় অলি এলাকায় মাদক ব্যবসা করেন দেদারসে। মুলত মাদক ব্যবসায়ী টেটনা হাবু ও অলি দুই ভাই মিলে এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে।
স্থানীয়রা বলেন, শাহীমসজিদ এলাকায় দুই ভাই মাদক ব্যবসায়ী হাবু ও অলি মিলে মাদক ব্যবসা করে এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। এলাকাটা ওরা নষ্ট করে ফেলছে। কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের উপর ওরা অক্রমন করে। কিন্তু ওরা কখনো ভাল হবে না।
ওদের মাদকের ব্যবসায় বাঁধা দিলে উল্টা আরো আমাদের ভয়। ওদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ-প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, মাদক ব্যবসার সাথে কোন আপোষ নয়। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক কোন ছাড় নাই।