বন্দরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৫ জন রক্তাক্ত জখম হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতরা হলো- আকাশ (১৯) লতিফ (২০) অমিয় (২০) শিশির (২০) রাহুল (১৯) ও ফয়সাল (১৯)। স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
এদের মধ্যে অমিয়ের অবস্থার অবনতি হলে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে রের্ফাড করে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের কদম রসুল কলেজ গেইটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর ফাঁড়ী উপ-পরিদর্শক রওশন ফেরদৌসসহ সঙ্গীয় র্ফোস নবীগঞ্জ কবিলেরমোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে শামস (১৯) নামে যুবককে আটক করেছে। আটককৃত যুবক শামস বন্দর থানার নবীগঞ্জ বড়বাড়ী এলাকার শাহীন মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
আহতদের মধ্যে এ ব্যাপারে আহত আকাশের পিতা রমজান মিয়া বাদী হয়ে সিকে ফাহিম, ইয়াসিন শামসসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ্য করে ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকার রমজান মিয়ার ছেলে আকাশ গত ১৭ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষ বন্দর রাজবাড়ি এলাকার সিকে ফাহিমের নেতৃত্বে নবীগঞ্জ বড়বাড়ী এলাকার শাহীন মিয়ার ছেলে শামস একই এলাকার ইয়াছিন মোযঅজ, অরবীসহ ১৫/১৬ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ আকাশের পথরোধ করে এলাপাথারী ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে।
ওই সময় আকাশের বন্ধু লতিফ, অমিয়, শিশির, রাহুল ও ফয়সাল হামলাকারিদের বাধা দিলে ওই সময় হামলাকারিরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে পিটিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে বন্দর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে।
সেখানে আহত অমিয় অবস্থা অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ আটককৃত সন্ত্রসিী শামসকে উক্ত মামলায় শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরণ করেছে।