রুদ্রাবর্তা২৪.নেট: বন্দরে আগাম ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ ছিল। এতে চরম গ্যাস সংকটে পড়ে বন্দরবাসি। রোববার (৪ জুলাই) রবিবার গভীর রাত থেকেই সোমবার দুপুর ২ পর্যন্ত এই গ্যাস সঙ্কট ছিল।
বন্দরের বিভিন্ন স্থানে খোজ নিয়ে জানা গেছে, বন্দরে ৯টি ওয়ার্ড ও ৫টি ইউনিয়নে মোট ১২ লক্ষেরও অধিক মানুষের বসবাস। তবে বন্দরে সিটি কর্পোরেশনের সুবিধা ভোগ করলেও ইউনিয়নবাসীরা যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকার কারনে অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত রয়েছেন। এরমধ্যে বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে গ্যাস সংকট। তাই অনেক বাড়িতে গৃহিনীরা মাটির চুলায় রান্না করতে দেখা গেছে। আবার অনেক বাসায় জ্বলেনি চুলা। খাবার কিনতে হোটেলগুলোতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। কোথাও কোথাও সরবরাহ থাকলেও চাপ এত কম যে সামান্য ভাত রান্না করা দায় হয়ে দাড়িয়েছে। এতে করে সকালের নাশতা-দুপুরের খাবার অনেকে মাটির চুলায় তৈরী করছে। আবার অনেকে বাধ্য হয়েই যেতে হচ্ছে হোটেল-রেস্তোরাঁয় এতে ভিড় বাড়ছে সেখানেও। আর এ সুযোগে খাবারের দাম বাড়ানোরও অভিযোগ উঠছে কোথাও কোথাও।
গ্যাস তীব্র সংকটে এক গৃহিনী জানায়, সে বন্দর ২১নং ওয়ার্ডের দত্তবাড়ী কলোনীতে থাকে। সে একটি হোসিয়ারীতে চাকুরী করে আর তার স্বামী এলাকায় বউবাজারে সব্জী ব্যবসা করে। লক ডাউনের কারনে হোসিয়ারী বন্ধ। তাই খুব অভাবে দিন কাটছে। সকালে উঠে দেখে গ্যাস নাই তাই সকালে তাদের হোটেল থেকে শুকনো রুটি এনে খেতে হয়েছে। গ্যাস না থাকার কারন জানতে চাইলে সে জানায় প্রায় সময়ই গ্যাস থাকেনা। এর একটাই কারন অবৈধ গ্যাস লাইন দিচ্ছে হরহামেশা। প্রশাসন কিংবা তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষেরও তেমন কোন নজরদারী নেই। যার ফলে বৈধ গ্যাসধারীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই খুব কষ্টে আছেন তারা।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সোনারগাঁ স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম জানান, রোববার রাত একটার দিকে কাঁচপুর এলাকার আলনূর পেপার মিলের ভিতরে গ্যাস রাইজারের লিকেজ থেকে অগ্নিকান্ড ঘটে। এতে দগ্ধ হন ওই মিলের ৪ নৈশ প্রহরী।
এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের প্রকৌশলী মো. রফিকুজ্জামান জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে রাতেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। কোথাও সমস্যা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্যা না থাকলে গ্যাস সরবরাহ আবার চালু করা হবে।