নারায়ণগঞ্জ বন্দরে দিপালী রানী দাস (৪২) নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নিহতের স্বামী শ্যামা চন্দ্র দাসকেও (৫০) কুপিয়ে জখম করা হয়। আহতকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে বন্দরের লেজারার্স এলাকার কাউসার মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া ও ওই বাড়ির কেয়ারটেকার ফরিদা বেগম (৩৮) ও তার ছেলে সিয়াম (২০)কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তবে ফরিদার স্বামী পলাতক রয়েছে । এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
নিহত দীপালী রাণী দাস ও আহত শ্যামা চন্দ্র দাসের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি এলাকায় বলে পুলিশ জানায়। আটকৃত ফরিদা এক বছর ধরে বন্দরের লেজারার্স এলাকার কাউসার মিয়ার বাড়িতে ভাড়ায় বসবাস করে কেয়ার টেকারের দায়িত্ব পালন করে আসছে। আহত শ্যামা চন্দ্র দাস পেশায় একজন মুচি।
এ দিকে প্র্রতিবেশীরা জানান, আহত শ্যামা চন্দ্র দাস গলায় ও সারাদেহে ছুরিকাঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে তার মেয়েদের ও স্থানীয়দের কাছে জানিয়ে গেছেন যে রাতে কারা তাদের উপর হামলা করে উপর্যুপুরি কুপিয়েছে এবং তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে।
নিহতের মেয়ে মলি জানান, তারা চার বোন। দুই বোন বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িতে থাকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে পাশের বাড়ির বিয়ের অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে গান বাজছিল। মায়ের অনুমতি নিয়ে বোনকে নিয়ে তিনি বিয়ের অনুষ্ঠান দেখতে যান। । পরে সেখান থেকে এসে দরজা খোলা পেয়ে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে মাকে গার্মেন্টসে যাবার জন্য ডাকতে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পাশেই তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন।
মলি আরো জানায়, ফরিদার সাথে গ্যাসের চুলার রান্না নিয়ে দ্বন্দ ছিল তাদের। সেই দ্বন্দেও জের ধরেই তার মাকে হত্যা ও বাবাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত শ্যামা চন্দ্রকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের মেয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফরিদা ও তার ছেলেকে আটক করা হয়েছে। ফরিদার পলাতক স্বামী ফরিদকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে তদন্তের পর হত্যাকান্ডের কারণ সম্পর্কে জানানো যাবে।