বন্দর প্রতিনিধি: জিক-জ্যাক ইটভাটার ছাড়পত্র, লাইসেন্স প্রাপ্তি নিরসনের জন্য এবং ইট ভাটা চালু রাখার দাবিতে বিশেষ করে ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা, ভাংচুর বন্ধের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি বন্দর উপজেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ১১টায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি বন্দর উপজেলা শাখার সাথে সম্পৃক্তরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে দেয়া বক্তব্যে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি বন্দর উপজেলার সভাপতি মমিন উল্লাহ খাঁন বলেন, ‘ইটভাটা মালিকরা অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ইটশিল্পের সঙ্গে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক কর্মচারী জড়িত এবং এখান থেকে প্রায় ৪ কোটি লোকের খাবারের ব্যবস্থা হচ্ছে। আমরা প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকা ট্যাক্স ও ভ্যাট দেই। পরিবেশ যাতে দূষণ না হয় সেজন্য সরকারের নির্দেশকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা জিগ জ্যাগ ইটভাটা স্থাপন করেছি। বিদেশী চক্রান্ত ও বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানীর ইন্ধনে ইটভাটা বন্ধের জন্য বিশাল ষড়যন্ত্র চলছে। ইটভাটা বন্ধ হলে উন্নয়ন কর্মকান্ড স্থবির হয়ে যাবে। হঠাৎ করে এভাবে ইটভাটা উঠিয়ে দিলে প্রতি ইটভাটার মালিককে ২০-২৫ কোটি টাকার লোকসানে পড়তে হবে। তাই উঠিয়ে দিলে প্রতিটি ইটভাটাকে ২০-২৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ইটভাটা চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা সহ স্মারকলিপিতে উল্লেখিত আমাদের দাবীগুলো মেনে নেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং আমাদেরকে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অবদান রাখার সুযোগ করে দেয়ার দাবী জানাচ্ছি। বিভিন্ন সময় অভিযানের নামে বিভিন্ন ইটভাটায় হানা দিয়ে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। এসব হয়রানি বন্ধ করার দাবী জানাচ্ছি। আগামী ১১ মার্চ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি দিবো, প্রয়োজনে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও করবো, অন্যথায় আমরা মহাসড়ক অবরোধের মাধ্যমে সারাদেশকে অচল করে দিতে বাধ্য হবো’।
ইটভাটার মালিক শাহাদাৎ হোসেন তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা ৫০ লক্ষ মানুষের জন্য লড়াই করছি। আমাদের অস্তিত্ব বাঁচাতে হলে কেন্দ্রের নির্দেশে যে কোন কর্মসূচি সফল করতে আমরা ঝাপিয়ে পড়বো। ইটভাটা বন্ধ ও ভেঙ্গে দেয়ার এই কালো আইন যারা করেছে তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক। আমাদের দাবী না মানলে মহাসড়ক অবরোধ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও ও বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দিয়ে সারা দেশকে অচল করে দেয়া হবে’।
এদিন উক্ত কর্মসূচিতে ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি বন্দর উপজেলা শাখার সাথে সম্পৃক্ত মমিন উল্লাহ খান, শাহাদাৎ হোসেন, আমান উল্লাহ আমান, মোক্তার হোসেন ভূইয়া, আলমগীর হোসেন, গোলাপ সাহেব, সুমন বেপারী, কবির হোসেন ও গিয়াস উদ্দিন সহ বন্দর উপজেলার আওতাধীন সকল ইটভাটার মালিক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।