নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওতাধিন বন্দরে ৯টি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ কমিটি গঠনের বিরোধিতাকারী হুমায়ন কবির মৃধা থানা কমিটির সভাপতি পদ পেতে এবার ভোল পাল্টে বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদ্য পদায়নকৃত নেতাদের নিয়ে ভুড়ি ভোজ করার খবর পাওয়া গেছে।
মহানগর আ’লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক ও আ’লীগের বন্দর থানা কমিটির সভাপতি প্রার্থী হুমায়ন কবির মৃধা নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য পদবঞ্চিত কর্মীদেরকে পল্টি দিয়ে গোপনে নতুন কমিটির সাথে আতাত করেছেন।
এ উপলক্ষে তিনি নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দদের মন জয় করতে তার নিজ বাড়িতে ভূড়ি ভোজের আয়োজন করেন। এ সময় আয়োজনে মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহাকে নিমন্ত্রন করা হয়। তবে হঠাৎ করে এমন আয়োজনে দাওয়াত পাননি পদবঞ্চিত নেতারা। এ ব্যাপারে পদবঞ্চিত নেতারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার এমন কর্মকান্ডে।
শনিবার ২৫ মে দুপুরে মহানগর আ’লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ন কবির মৃধার কুশিয়াস্থ বাড়িতে এ ভূড়িভোজের আয়োজন করা হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে পদবঞ্চিত নেতারা বলেন, মহানগর আ’লীগের বন্দরে ৯টি ওয়ার্ডে ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে মহানগর আ’লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। যে কারনে আমরা এই কমিটিকে প্রত্যাখ্যাত করেছি। অনভিজ্ঞ ও বিতর্কিত লোকদের কমিটিতে স্থান দিয়ে কমিটিকে বিতর্কিত করেছে।
মনগড়া এই অবৈধ কমিটির বিরোদ্ধে আন্দোলন করছি। কমিটি বাতিল করে পূণরায় আ’লীগের পরিক্ষিত নেতাদের নিয়ে কমিটি করতে আমরা কেন্দ্রে স্বারকলিপি পেশ করেছি। আমাদের এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন মহানগর আ’লীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক হুমায়ুন কবির মৃধা। কিন্তু নিজের স্বার্থের কারনে হটাৎ করে ভোল পাল্টে গেল হুমায়ুন কবির মৃধার।
যে নতুন কমিটির বিরুদ্ধে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে সভা সমাবেশ করলেন,কমিটি বাতিলের দাবীতে বক্তব্য দিলেন,অবৈধ কমিটি বাতিল কর শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করলেন সেই হুমায়ুন কবির মৃধা রাতারাতি নিজের স্বার্থের কারনে ভোল পাল্টে ওই নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকদের নিয়ে নিজের বাড়িতে দাওয়াত দিয়ে খাওয়ান যা খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।
মানুষ স্বার্থের কারনে কিভাবে চরিত্র বদল করতে পারে। আমরা সারাজীবন পদ পদবী না পেলেও কখনো নীতি বিজর্সন দিব না। হুমায়ুন কবির মৃধার এমন স্বার্থাম্বেসী কর্মকান্ডে আ’লীগের তৃনমুল কর্মী হতাশ। আমরা এ কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।